জি-২০ সম্মেলনের পূর্বে শি জিনপিং– বাইডেনের বৈঠক, আলোচনায় ছায়া ফেলছে ইউক্রেন যুদ্ধ
তাইওয়ান, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যসহ অনেক বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক মতভেদের জেরে কয়েক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক। এরমধ্যেই সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুই দেশের নেতা– শি জিনপিং ও জো বাইডেনের মধ্যে বহুল প্রত্যাশিত সরাসরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খবর রয়টার্সের
ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে জি-২০ জোটের সম্মেলন। এতে অংশ নিতে, উভয় দেশের প্রেসিডেন্টই বালিতে গেছেন।
সম্মেলন শুরুর আগে আজ সোমবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন তারা। বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটাই শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার প্রথম সরাসরি বৈঠক। এর আগে তাদের মধ্যে কয়েকবার ভার্চুয়াল ব্যবস্থায় সংলাপ হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সংলাপে গভীর ছায়া ফেলবে ইউক্রেন যুদ্ধ। এনিয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে বালির বিলাসবহুল হোটেল মুলিয়া অন নুসা দুয়া বে'তে। বৈঠক শুরুর আগে দুই নেতাকে করমর্দন করতে দেখা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, তারা তাইওয়ান, ইউক্রেন এবং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করবেন। রাশিয়া জি-২০ জোটের সদস্য হলেও– এবারের সম্মেলন তার অনুপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর তাই এসব বিষয়ে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র চীনের সর্বোচ্চ নেতার সাথেই সংলাপ করতে হবে বাইডেনকে।
অবশ্য রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবারের জি-২০ সম্মেলনে পুতিনের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এর আগে ক্রেমলিন পুতিনের ব্যস্ততার কথা উল্লেখ করে তিনি যোগ দিতে পারবেন না বলে জানায়।
এদিকে বালিতে পৌঁছানোর পর অসুস্থ হয়ে পড়ায় ল্যাভরভকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এমন একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়– এটি অসত্য বলে জানিয়েছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার দিনের শুরুতে বালিতে পৌঁছান শি জিনপিং। অন্যদিকে, বাইডেন আসেন রোববারে।
রোববার এশীয় দেশগুলির নেতাদের বাইডেন জানান, সংঘাত এড়াতে চীনের সাথে যোগাযোগের লাইন সচল রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে আগামীতে উভয় দেশের নিশ্চিতভাবে 'কড়া সংলাপই' হবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে হংকং, তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন সাগর এবং বেইজিংয়ের বাণিজ্য নীতিকে কেন্দ্র করে উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। ইতোমধ্যে চীনের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, সম্পর্ক উন্নতিতে গত দুই মাস ধরেই নীরবে চেষ্টা করছে বেইজিং আর ওয়াশিংটন।