‘দ্য সারপেন্ট’খ্যাত সিরিয়াল কিলারকে ফ্রান্সে পাঠালো নেপাল
প্রায় দু'দশক পর নেপালের কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার চার্লস শোভরাজ। শোভরাজকে নিজের দেশ ফ্রান্সেই পাঠিয়েছে নেপাল প্রশাসন। যদিও আগামী দশ বছরের জন্য তার নেপাল প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
বয়স ও ভালো আচরণের জন্য বুধবার (২১ ডিসেম্বর) ৭৮ বছর বয়সী শোভরাজকে মুক্তি দেওয়ার আদেশ দেন নেপালের সুপ্রিম কোর্ট।
নেপালের আইন অনুসারে, যেসব কারাবন্দি মোট মেয়াদের ৭৫ শতাংশ সময় সাজা ভোগ করেছেন এবং ভালো আচরণ করেছেন, তাদেরকে মুক্তি দেওয়া যায়।
শুক্রবার কাঠমান্ডু বিমানবন্দর থেকে দোহা হয়ে প্যারিসের ফ্লাইটে শোভরাজকে চাপিয়ে দেন নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। আজ তার প্যারিসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
১৯৭২ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ২০টির বেশি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন শোভরাজ। ভুক্তভোগীদের তিনি মাদক দিয়ে শ্বাসরোধ করে বা পিটিয়ে হত্যা করতেন। তারপর মরদেহ পুড়িয়ে ফেলতেন।
তার হাতে খুন হওয়া অধিকাংশ ব্যক্তিই ছিলেন ভারত ও থাইল্যান্ডে ঘুরতে আসা পশ্চিমা তরুণ হিপ্পি।
ছদ্মবেশ নিতে পটু ছিলেন শোভরাজ। ছিল কারাগার থেকে পালানোর দক্ষতাও। আর তার সিংহভাগ টার্গেট ছিল তরুণীরা। এ কারণে তার নাম হয়ে যায় 'দ্য সারপেন্ট' ও 'বিকিনি কিলার'। পরবর্তীতে ২০২০ সালে বিবিসি ও নেটফ্লিক্স তাকে নিয়ে যৌথভাবে 'দ্য সারপেন্ট' নামেই ড্রামা সিরিজ নির্মাণ করে।
কাঠমান্ডুতে জেল খাটার আগে শোভরাজ ইতিমধ্যে এক বাসভর্তি ফরাসি পর্যটককে বিষ খাওয়ানোর দায়ে দুই দশক কারাভোগ করেন।
ওই সময় তিনি কারারক্ষীকে মাদক দিয়ে কারাগার থেকে পালিয়ে যান। পরে শোভরাজ দাবি করেন, ইচ্ছে করেই সাজার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য তিনি জেল থেকে পালিয়েছিলেন, যাতে থাইল্যান্ডে প্রত্যাবাসন এড়াতে পারেন। থাইল্যান্ডে তাকে আরও পাঁচটি খুনের দায়ে পুলিশ খুঁজছিল।