‘দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে মমতার’, মন্তব্য অমর্ত্য সেনের
২০২১ সালের একুশের পশ্চিমবঙ্গে সর্বশক্তি দিয়েও বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে হারাতে পারেনি। বরং তিনি সমস্ত শক্তিকে পরাজিত করে তৃতীয়বার সরকার গঠন করেছেন। ২০২৪ সালে ভারতে হবে লোকসভা নির্বাচন। ইতোমধ্যেই মমতার দল- তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে 'ভারত এবার দিদিকে চায়' স্লোগান উঠছে। এসব আলোচনার মধ্যেই সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন নিজ মতপ্রকাশ করে জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে। আর এই মন্তব্য নিয়ে এখন আলোড়ন পড়েছে প্রতিবেশী দেশটিতে।
ঠিক কী বলেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ? বিজেপি যখন লোকসভা নির্বাচন নিয়ে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছেন তখন বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। অমর্ত্য সেন বলেন, 'এই নয় যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ্যতা নেই। অবশ্যই তার যোগ্যতা রয়েছে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার। কিন্তু, বিজেপির বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভকে তিনি কতটা টানতে পারবেন- সেটাই সবচেয়ে বড় বিষয়। এখনও সেটা দেখা যাচ্ছে না। তাকে বিজেপির দেশ বিভাজনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্বে থাকতে হবে।'
সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, আগামী বছর ১৫ আগস্ট (দিল্লির) লালকেল্লা থেকে দেখতে পাওয়া যাবে ৫ ফুটের মহিলা হাওয়াই চটি আর তাঁতের শাড়ি পরে জাতির উদ্দেশ্যে (প্রধানমন্ত্রী হিসেবে) ভাষণ দিচ্ছেন। এটা অবশ্য তার দলের সদস্যের কথা। তবে ২০২২ সালে একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'কোন অঙ্কে, কীভাবে আমি বলব না। তবে ২০২৪–এ দিল্লিতে বিজেপি থাকবে না, থাকবে না, থাকবে না।' এবার স্বয়ং নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন এমন মন্তব্য করলে বিজেপির অস্বস্তি বাড়তে শুরু করেছে বলে জানায় হিন্দুস্তান টাইমস।
অমর্ত্য সেন তার সাক্ষাৎকারে ২০২৪ সালের নির্বাচনে আঞ্চলিক শক্তির গুরুত্বের কথাও বলেছেন। সেখানে অন্যান্য দলের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের কথা উল্লেখ করেন তিনি। তার মতে, 'বিজেপি যেভাবে নিজেকে বিরাট শক্তিধর হিসেবে দেখায়, সেটা একটা দিক। কিন্তু, বিজেপির দুর্বলতাও বিস্তর। সমস্ত দল যদি একসঙ্গে লড়াই করতে পারে; তাহলে ২০২৪ সালে বিজেপিকে রুখে দেওয়া সম্ভব।' তবে কংগ্রেস যেভাবে দুর্বল হয়েছে, তাতে তাদের ওপর মানুষ কতটা আস্থা রাখবে- তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন নোবেলজয়ী।