পাকিস্তানে সংসদ সদস্য ও সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কমানোসহ একগুচ্ছ সুপারিশ
পাকিস্তানের যেসব বেসামরিক ও সামরিক আমলা, বিচারপতিসহ অন্যান্য প্রভাবশালীকে একটার বেশি প্লট দেওয়া হয়েছিল, তাদের কাছ থেকে বাড়তি প্লটগুলো নিয়ে নেওয়ার সুপারিশ করেছে দেশটির জাতীয় কৃচ্ছ্র সাধন কমিটি (এনএসি)। খবর দ্য নিউজ-এর।
যেসব সুপারিশ করেছে এনএসি
চলমান অর্থনৈতিক দুর্দশা থেকে উত্তরণের জন্য একগুচ্ছ সুপারিশ করেছে পাকিস্তানের জাতীয় কৃচ্ছ্র সাধন কমিটি। উল্লেখ্যযোগ্য সুপারিশগুলো হলো:
১. যারা একেবারে কম দামে অতিরিক্ত প্লট নিয়েছেন, তাদের কাছ থেকে বাড়তি প্লটগুলো নিয়ে নেওয়া হবে। তারপর সেগুলো নিলামে বিক্রি করে সেই অর্থ সরকারি ঋণ শোধে কাজে লাগানো হবে।
২. ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সংসদ সদস্যদের বেতন ১৫ শতাংশ ও সব পর্যায়ের সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন ১০ শতাংশ কমানো হবে।
৩. দেশজুড়ে গ্যাস ও বিদ্যুৎ খাতে প্রিপেইড মিটার বসাতে হবে।
৩. বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ করতে হবে। না গেলেই নয়, এমন ভ্রমণগুলোর অনুমোদন দেবে যোগ্য কর্তৃপক্ষ।
৪. কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ৩০ জনের বেশি হতে পারবে না। আর যদি সদস্যসংখ্যা বাড়াতেই হয়, তাহলে তারা কাজ করবেন বিনা পয়সায়।
৫. সব মন্ত্রণালয়/বিভাগের জন্য বর্তমান বরাদ্দকৃত বাজেট ১৫ শতাংশ কমাতে হবে।
৬. গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জন্য জরুরি নয়, এমন অর্থ বরাদ্দ বাতিল করতে হবে।
৭. সব পর্যায়ে পেট্রোলের ব্যবহার ৩০ শতাংশ কমাতে হবে। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত নতুন যানবাহন কেনা রাখতে হবে।
৮. যে ভাতা মূল বেতনের অংশ, সেটি ছাড়া বাকি সব ভাতা বাতিল করতে হবে।
৯. এসইউভিসহ অন্যান্য সমস্ত বিলাসবহুল গাড়ি আমদানিতে পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে।
১০. অফিসিয়াল সভা সশরীরে না করে অনলাইনে করতে হবে।
প্রাথমিক খসড়া হিসাব অনুসারে, এনএসির এসব সুপারিশ ঠিকমতো বাস্তবায়িত হলে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় কোষাগার বছরে ৫০০ থেকে ১ হাজার বিলিয়ন রুপি বাঁচাতে পারবে।
এনএসির এসব সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য কমিটির প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদে জমা দেওয়া হবে। এখন দেখার বিষয় শাহবাজ শরিফের সরকার এসব সুপারিশ অনুমোদন করে কি না।