তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পের আভাস কিছুদিন আগেই এসেছিল? গবেষকের টুইট ভাইরাল
গোটা দেশ কার্যত ধ্বংসপুরীর রূপ নিয়েছে। মৃত্যুর মিছিল ছাড়িয়েছে ২,৬০০-এর বেশি। তুরস্কে পর পর তিনটি ভয়াবহ ভূমিকম্প ক্ষতির পরিমাণ বাড়িয়েছে। প্রাণহানির সংখ্যা কোথায় গিয়ে ঠেকবে তার কোনো সীমা পাচ্ছে না বিশ্ব। এদিকে, তারই মাঝে সদ্য ভাইরাল হয়েছে একটি টুইট। টুইটটি করেছেন ফ্র্যাঙ্ক হুগারবিটস নামক একজন গবেষক।
গবেষক ফ্র্যাঙ্ক হুগারবিটসের ৩ ফেব্রুয়ারি পোস্ট করা একটি টুইটে উঠে আসে ভূমিকম্পের আগাম সতর্কতা। সেখানে তিনি লেখেন, খুব শিগগির বা পরে একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প হতে পারে। টুইটে তিনি কম্পনের মাত্রারও একটি আভাস দেন। আর সে মাত্রা ছিল ৭.৫।
উল্লেখ্য, সিরিয়া ও তুরস্কের একটা বড় অংশ জুড়ে যে ভূমিকম্প আজ হয়েছে তার কম্পনের মাত্রা ৭.৯ ছিল প্রথমবারেই। দ্বিতীয় ভূমিকম্পে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৫। আর তৃতীয় ভূমিকম্পে কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬। ফ্র্যাঙ্ক হুগারবিটসের ওই টুইট আপাতত ভাইরাল। টুইটে তিনি লিখেও দেন যে কোন কোন দেশে এ ভয়াবহ ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই দেশের তালিকায় ছিল সিরিয়া, তুরস্ক, জর্ডন, লেবাননের নাম।
এদিকে, ভোররাতে এদিন তুরস্কের গাজিয়ানতেপের কাছে এক জায়গা ছিল ভূমিকম্পের এপিসেন্টার। এটিকে কেন্দ্র করে তুরস্ক সিরিয়া সীমান্ত লাগোয়া বিশাল অংশ কেঁপে ওঠে ভূমিকম্পে। প্রথম ভূমিকম্পের পর প্রাথমিকভাবে জানা যায় দেশটিকে তখন মৃতের সংখ্যা ৩৬০ ছাড়াচ্ছে। এরপর বেলা গড়াতেই ভয়াবহ আকারে বাড়তে থাকে মৃতের সংখ্যা। শেষ পাওয়া খবরে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ২,৬০০ ছড়িয়েছে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্রমেই ভাইরাল হতে শুরু করে একাধিক হাড় হিম করা ভিডিও। কোথাও হুড়মুড়িয়ে বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনা, কোথাও আগুন লাগার ঘটনা দেখা যায় এসব ভিডিওতে। এ পরিস্থিতি উঠে আসে সিরিয়া ও তুরস্কের বিভিন্ন জায়গা থেকে।
সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে সহায়তার হাত বাড়ানো হয়েছে। বিশ্বের মোট ৪২টি দেশ এগিয়ে এসেছে সাহায্যে।