বিস্ময়কর এই ঘটনা ঘটবে! ১৮ মাসের মধ্যে শিশুদের পড়তে শেখাবে এআই: বিল গেটস
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এআই) মাধ্যমে শীঘ্রই পড়তে ও শিখতে পারবে শিশুরা। এমনকি, পরীক্ষায় তাদের ফলাফল ভালো করতেও সাহায্য করবে এই উন্নত প্রযুক্তি। মাইক্রোসফ্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এমনটিই জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, এআই চ্যাটবটগুলো আগামী ১৮ মাসের মধ্যে শিশুদের পড়তে শেখানোর দক্ষতা অর্জন করবে; সেইসঙ্গে তাদের লেখার দক্ষতা বাড়াতেও সাহায্য করবে এই প্রযুক্তি।
গত মঙ্গলবার সান দিয়েগোতে এএসইউ+জিএসভি সামিটের মূল বক্তৃতায় গেটস বলেন, "মানুষের মতোই একজন ভালো শিক্ষক হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। খুব শীঘ্রই সেই সক্ষমতা অর্জন করবে এআই।"
ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি এবং গুগল বার্ডের মতো এআই চ্যাটবটগুলো গত কয়েক মাসে আরও উন্নত হয়েছে; কিছু মানসম্মত পরীক্ষায় এখন এই চ্যাটবটগুলো মানব বুদ্ধিমত্তার সঙ্গেও প্রতিযোগিতা করতে পারে। তবে এআইয়ের এমন অভূতপূর্ব উন্নয়নে সম্ভাব্য কিছু নেতিবাচক পরিণতি নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক। অনেক বিশেষজ্ঞই প্রযুক্তির নেতিবাচকতা তুলে ধরেছেন।
কিন্তু নেতিবাচকতা ছাপিয়ে প্রযুক্তির ইতিবাচক দিকগুলোর ওপরেই বেশি জোর দিচ্ছেন বিল গেটস।
"আজকের চ্যাটবটগুলো সাবলীলভাবে পড়া ও লেখা শেখাতে সক্ষম। শীঘ্রই এটি শিক্ষার্থীদের কাজে আসবে, যা আগে কোনো প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্ভব হয়নি," বলেন তিনি।
গেটস আরও বলেন, "প্রথম দিকে রিডিং রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে এটি আপনাকে পড়তে সাহায্য করবে, এবং পরে এটি আপনার লেখার বিষয়েও ফিডব্যাক জানাবে।"
লেখার বিষয়ে ফিডব্যাক দেওয়া বা এ বিষয়ে দক্ষতা বাড়ানো কম্পিউটারের জন্য কঠিন কাজ হলেও এআইয়ের জন্য এমনটি নয় বলে উল্লেখ করেন গেটস।
কোনো লেখার বিষয়ে শিক্ষকরা যেরকম সংশোধনী বা বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া দিয়ে থাকেন, তা প্রযুক্তির মাধ্যমে কোডে প্রকাশ করা কঠিন। কিন্তু এআই চ্যাটবটগুলোর মানুষের ভাষা বোঝা এবং তা পুনরায় তৈরি করার সক্ষমতা থাকবে বলে জানিয়েছেন এর প্রক্তারা।
গেটস বলেন, "আগামী ১৮ মাসের মধ্যেই একজন টিচিং অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে এআইয়ের আবির্ভাব হবে, লেখার বিষয়ে এই প্রযুক্তি প্রতিক্রিয়া জানাবে। এমনকি, গণিত সমাধানেও এটি আপনাকে সাহায্য করতে পারে।"
তবে একইসঙ্গে শিক্ষাবিদরা সতর্ক করেছেন, প্রযুক্তিটি এখনও সম্পূর্ণরূপে তৈরি হয়নি এবং যেকোনো অসাবধানতাবশত এতে ভুল বা ক্রুটিপূর্ণ তথ্যের প্রবর্তন হতে পারে। গেটস বলেন, এআই প্রযুক্তিকে আগে অবশ্যই মানুষের ভাষা বুঝতে পারা ও সে অনুযায়ী পুনর্গঠনে সক্ষম করে তৈরি করতে হবে। তবেই তা শিক্ষার্থীদেরকে আরও অনুপ্রাণিত করতে পারবে।
- সূত্র: সিএনবিসি