বাখমুত ছাড়ার হুমকির পর রাশিয়া পর্যাপ্ত ‘গোলাবারুদের অঙ্গীকার’ করেছে: ওয়াগনার প্রধান
রাশিয়ার ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন জানিয়েছেন, মস্কো তার আরও বেশি গোলাবারুদ সরবরাহের দাবি মেনে নিয়েছে। দিনকয়েক আগে গোলাবারুদ সংকটের কথা উল্লেখ করে বাখমুত থেকে নিজের বাহিনীকে সরিয়ে আনার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার ওয়াগনার সেনাদের লাশের সামনে দাঁড়িয়ে তৈরি করা এক ভিডিও বার্তায় তিনি পর্যাপ্ত গোলাবারুদের অভাবের জন্য রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের দোষারোপ করেন।
তখন তিনি জানিয়েছিলেন, আগামী ১০ মে ওয়াগনার বাহিনী বাখমুত ছেড়ে চলে যাবে।
তবে রোববার (৭ মে) প্রিগোজিন জানিয়েছেন, বাখমুতে 'যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়' রসদ দেওয়ার ব্যাপারে রাজি হয়েছে মস্কো।
তবে তার এ ইউ-টার্ন নিয়ে অনেকেই আশ্চর্য হচ্ছেন না। কারণ প্রিগোজিন প্রচারণা পছন্দ করেন। এর আগেও একাধিকবার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু পরে সেগুলো থেকে সরে আসেন।
গত কয়েক মাস ধরে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী ও ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপ বাখমুত দখলের চেষ্টা করছে। যদিও এ শহরটির কৌশলগত গুরুত্ব নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।
পশ্চিমা কর্তৃপক্ষের ধারণা অনুযায়ী, বাখমুতের যুদ্ধে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার রাশিয়ান সৈন্য ও ওয়াগনার যোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছেন।
তকে রুশ বাহিনী ও ওয়াগনার গ্রুপ একইসঙ্গে যুদ্ধ করলেও তাদের এ সম্পর্ক খুব একটা সহজ নয়।
প্রিগোজিন ফ্রন্টলাইনে পর্যাপ্ত সমর্থন না দেওয়ার অভিযোগ এনে নিয়মিতই রাশিয়ান কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেছেন।
নতুন বিবৃতিতে তিনি দাবি করেছেন, গত অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা জেনারেল সার্গেই সুরোভিকিনকে রাশিয়ার নিয়মতি বাহিনী ও ওয়াগনার যোদ্ধাদের মধ্যকার লিয়াজোঁ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
'এ লোকটা কেবল তারকাখচিত আর্মি জেনারেলই নন, তিনি জানেন কীভাবে যুদ্ধ করতে হয়,' সুরোভিকিন সম্পর্কে বলেন প্রিগোজিন।
অবশ্য প্রিগোজিন স্পষ্ট করে তার হুমকি তুলে নেননি। তিনি জানিয়েছেন, তার বাহিনীকে 'যেভাবে উপযুক্ত বলে মনে করে, সেভাবে বাখমুতে কাজ করার জন্য' অনুমতি দেওয়া হয়েছে — অর্থাৎ বাখমুত থেকে ওয়াগনার বাহিনী আপতত বিদায় নিচ্ছে না।
ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের সর্বশেষ এ বিবৃতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ক্রেমলিন।