কেন চালুর ৭ বছরের মাথায় ২,০০০ টাকার নোট বাতিলের ঘোষণা ভারতের?
গত শুক্রবার (১৯ মে) রিজার্ভ ব্যাংক অভ ইন্ডিয়া (আরবিআই) বাজার থেকে ২,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছে। মাত্র সাত বছর আগে ছাপানো শুরু হয়েছিল এ নোট। খবর দ্য হিন্দুস্তান টাইমস-এর।
'ক্লিন নোট পলিসি'র আওতায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতের শীর্ষ ব্যাংকটির মতে, এই পদক্ষেপে দেশটির মাত্র ১১ শতাংশ অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়বে।
তবে ২,০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল আরবিআই-এর। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ থেকেই ২,০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগে দেশটিতে অনেকবার এ নোট বাতিলের গুজবও রটেছিল।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নৃপেন্দ্র মিশ্রের দাবি, ২০১৬ সালে ৫০০ ও ১,০০০ টাকার নোট বাতিলের সময় ২,০০০ টাকার নোট আনতেই চাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
নৃপেন্দ্র মিশ্র বলেন, স্বল্পমেয়াদী পদক্ষেপ হিসেবে এই ২০০০ টাকার নোট ইস্যু করতে হয়েছিল মোদি সরকারকে।
এদিকে এ পদক্ষেপকে 'দানবিক সিদ্ধান্ত' হিসেবে অভিহিত করে মোদি সরকারের সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
টুইটারে তিনি লেখেন, '২,০০০ টাকার নোট বাতিল আরও একটি বাতিকগ্রস্ত ও তুঘলকি নাটক। আরও একবার ব্যাপক হয়রানির মুখে পড়বেন সাধারণ মানুষ। এই সরকারের জনবিরোধী ও পুঁজিবাদী মুখকে আড়াল করতেই এমন অসাধু পদক্ষেপ।'
এর আগে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরর রাতে ১,০০০ ও ৫০০ টাকার নোট বাতিলের ঘোষণা করেছিল ভারত সরকার। বলা হয়েছিল, ভুয়া টাকা এবং কালো টাকার রমরমা ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ। পরবর্তীসময়ে নতুন ৫০০ ও ২,০০০ টাকার নোট আনা হয়েছিল।
গতকাল আরবিআই নতুন ২,০০০ টাকার নোট আনার ঘোষণা দিয়েছে। তবে ২০১৬ সালের মতো এবার তাড়াহুড়া করা লাগবে না ভারতীয় নাগরিকদেরকে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় মিলবে ২,০০০ টাকার নোট বদলে নেওয়ার বা ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য।