২০০৭ সালের আইফোন বিক্রি হলো ১ লাখ ৯০ হাজার ডলারে
২০০৭ সালে বাজারে আসা আইফোনের প্রথম প্রজন্মের চার গিগাবাইট ধারণক্ষমতার একটি ফোন নিলামে প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার ৩৭২ ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি ৬ লাখ টাকা) বিক্রি হয়েছে। এলসিজি অকশনস আয়োজিত এ নিলামে একেবারে মোড়কযুক্ত থাকা ফোনটির বিক্রয়মূল্য ২০০৭ সালের মূল্যের প্রায় ৪০০ গুণ। খবর বিবিসির।
সাধারণত নতুন মডেল বাজারে আসার সাথে সাথে আইফোনের পুরনো মডেলের দাম কমতে থাকে। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও ঘটে, যেমনটা দেখা গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত এই নিলামে।
২০০৭ সালে মডেলটির অল্প সংখ্যক কপি তৈরি করা হয়েছিল। তাই ফোনটি নিলামে কেনার জন্যও ছিল চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতা। প্রায় ২৮ জন ব্যক্তি ফোনটি কেনার জন্য নিলামে অংশ নিয়েছিলেন।
এলসিজি অকশনসের ওয়েবসাইটে ফোনটিকে 'অত্যন্ত বিরল, কারখানা কর্তৃক সিলকৃত, চার গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ব্যতিক্রমধর্মী প্রথম রিলিজ' বলে অভিহিত করেছে।
২০০৭ সালে ফোনটির বিক্রয়মূল্য ছিল ৫৯৯ মার্কিন ডলার। নিলামকারী প্রতিষ্ঠানটি ধারণা করেছিল যে, নিলামে ফোনটির দাম ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে। কিন্তু সেই ধারণার থেকেও বেশি রেকর্ড মূল্যে বিক্রি হয়েছে ফোনটি।
২০০৭ সালের ৯ জানুয়ারি তৎকালীন অ্যাপল সিইও স্টিভ জবস সান ফ্রান্সেসকোতে 'ম্যাক ওয়ার্ল্ড সম্মেলনে' প্রথম প্রজন্মের আইফোন প্রদর্শন করেন। এরপর ২৯ জুন আইফোন বাজারে আনে অ্যাপল।
কিন্তু বাজারে আনার মাত্র দুই মাস পরই চার গিগাবাইট ধারণক্ষমতার আইফোনটির বিক্রি বন্ধ করে দেয় অ্যাপল। এক্ষেত্রে কম বিক্রি হওয়াকে কারণ হিসেবে দেখানো হয়।
কেননা একই সময়ে মাত্র ১০০ ডলার বেশি মূল্যে আট জিবি ধারণক্ষমতার ফোনটি বাজারে আনা হয়। তাই তৎকালীন সময়ে চার জিবির মডেলটির পরিবর্তে গ্রাহকেরা দ্বিগুণ মেমোরির আট জিবির ফোনটিই বেশি কিনতে থাকে।
প্রতি কয়েক মাস অন্তর অ্যাপলের দুর্লভ সব পণ্য নিলামে তোলা হয়। একইসাথে স্টিভ জবসের দুর্লভ সব বস্তু (স্কুলে থাকা অবস্থায় লেখা কবিতা, ১৯৭৮ সালের বিজনেস কার্ড কিংবা কলেজ জীবনে তোলা ছবি) নিলামে তোলা হয়েছে।
২০১১ সালে অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৫৬ বছর বয়সে অ্যাপল সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস মৃত্যুবরণ করেন। তিনিই সর্বপ্রথম আইম্যাক কম্পিউটার, আইপড, আইফোন ও আইপ্যাডের মতো নতুন নতুন পণ্য প্রযুক্তি বাজারে নিয়ে এসে আলোড়ন তৈরি করেছিল।