২০২৩ সালে মাল্টায় আসা অভিবাসীদের ৬৫% বাংলাদেশি
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, চলতি বছরের ১৩ আগস্ট পর্যন্ত সমুদ্রপথে মাল্টায় আসা মোট ২৩১ অভিবাসীর মধ্যে ৬৫ শতাংশই বাংলাদেশ থেকে এসেছে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) প্রকাশিত একটি তথ্যপত্রে সংস্থাটি এই তথ্য জানায়।
২০২২ সালে মাল্টায় আগত মোট অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ৭৫ জন। ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪৫৮ এবং ২০২০ সালে ২,০৪৫।
চলতি বছরে আগতদের মধ্যে ১৪৯ জন বাংলাদেশি। বাকিদের মধ্যে ২১ শতাংশ সিরিয়া, ৮ শতাংশ গিনি, ৭ শতাংশ ক্যামেরুন, ৬ শতাংশ মিশর, ২ শতাংশ সুদান এবং ১ শতাংশ দক্ষিণ সুদান ও ফিলিস্তিনের নাগরিক।
২০২১ সালে, আগতদের মধ্যে ৫১ ছিল বাংলাদেশি, ২৮ শতাংশ সিরিয়ান এবং ৮ শতাংশ মিশরীয়। ইউএনএইচসিআর বলছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর আগমনকারীদের জাতীয়তা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে পরিবর্তন এসেছে।
ইতিমধ্যে, ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে আশ্রয়ের জন্য ২৮২টি আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনগুলির মধ্যে ২২৫টি ছিল প্রথমবার, ৫৪টি দ্বিতীয়বার করা এবং তিনটি পর্যালোচনার জন্য পুনরায় খোলা হয়েছিল।
আবেদনকারীদের মধ্যে বাংলাদেশ, সুদান এবং সিরিয়ার নাগরিক বেশি।
৩০ জুনের মধ্যে আন্তর্জাতিক সুরক্ষা সংস্থা অভিবাসন প্রত্যাশীদের ১,১৬০টি আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। যেখানে স্বীকৃতির হার ১৬ শতাং (১৭৮টি) আর প্রত্যাখানের হার ছিল ৩৬ শতাংশ (৪২১)।
২০২৩ সালে জারি করা এসব সিদ্ধান্তের (যাচাই, অনুমোদন বা প্রত্যাখান) জন্য গড় অপেক্ষার সময় ছিল ২.৩ বছর।
সিরিয়ানদের জন্য গড়ে ২.৬ বছর, ইরিত্রিয়ানদের জন্য ২.৪ বছর এবং সোমালিদের জন্য ২.৭ বছর পর আন্তর্জাতিক সুরক্ষা দেওয়া হয়েছিল।
প্রত্যাখ্যাত হওয়া মামলার গড় সময় সুদানিজদের জন্য ২.৯ বছর, সিরিয়ানদের জন্য ৩.৩ বছর, সোমালিদের জন্য ২.৫ বছর এবং বাংলাদেশীদের জন্য প্রায় ৫৪ দিন।