নিহত ১৭ ইসরায়েলি সেনা্, আইডিএফের সাথে কেন প্রচলিত যুদ্ধ লড়তে চায় না হামাস
দক্ষিণ ইসরায়েল থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জেরেমি বোয়েন জানাচ্ছেন, বেশ সতর্কতার সাথে আস্তে ধীরে গাজায় প্রবেশ করার পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) এখন আরও সামনে অগ্রসর হচ্ছে। এরমধ্যেই হামাসের সাথে লড়াইয়ে তাদের ১৭ জন সেনা নিহত হয়েছে। সেনা-অবস্থান লক্ষ্য করে একাধিক ট্যাংক-বিধবংসী মিসাইল আঘাত হানলে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির।
আজ বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকালে আইডিএফ বেশকিছু ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওতে ইসরায়েলি সেনাদের গাজার কোন কোন জায়গায় অবস্থান করতে দেখা গেছে। স্থানগুলো কোথায় তা বোঝা যায়নি।
যদিও ভিডিও দেখে মনে হয়েছে, গাজা সিটির কাছাকাছি কোথাও হবে।
তবে গাজা উপত্যকা একটি ছোট্ট অঞ্চল, শান্তিকালীন সময়ে গাড়িতে করে গাজা উপত্যকার সবচেয়ে উত্তর প্রান্ত থেকে দক্ষিণে মাত্র ১৫ মিনিটে যাওয়া যায়। তারপরেও, গাজার সিটির দ্বারপ্রান্তে আসতে কয়েকদিন লেগেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর। এতেই প্রমাণিত হয়, তারা বেশ সাবধানে ধীরে ধীরে এগিয়েছে।
এই সংঘাত রাশিয়া বনাম ইউক্রেন যুদ্ধের মতোন নয়। এখানে উভয়পক্ষের কাছেই বিশাল সেনাবাহিনী, ভারী কামান ও অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র নেই – যা দিয়ে একে-অন্যকে পর্যদুস্ত করবে। এ লড়াইয়ে ইসরায়েল প্রবল শক্তিধর। আর হামাস ঘরোয়াভাবে তৈরি অস্ত্র-সরঞ্জাম নির্ভর এক প্রতিরোধ শক্তি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আক্রমণ অভিযানে তারা কল্পনাতীত চমক দেখালেও, সেটি ছিল ব্যতিক্রম।
তাই হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যেকার যুদ্ধের মতোন সংঘাতকে 'এসিমেট্রিক ওয়ারফেয়ার' বা অসম প্রতিপক্ষের মধ্যে যুদ্ধ বলেন বিশ্লেষকরা। যেখানে সবলের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় দুর্বল।
এজন্যই প্রচলিত উপায়ে, নির্দিষ্ট এলাকা বা জায়গায় ইসরায়েলি বাহিনীর সাথে লড়তে চায় না হামাস। বরং ছোট ছোট কিন্তু মারাত্মক আঘাত হেনে তাদের ব্যতিব্যস্ত রাখতে চায়।