কারাগার থেকেই তিন আসনে নির্বাচন করবেন ইমরান খান: পিটিআই
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) কারাবন্দি প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কারাগার থেকেই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবেন। আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচনে ইমরান তিনটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানিয়েছে পিটিআই।
ইমরান যে তিনটি আসনে লড়বেন, সেগুলো হলো লাহোর, মিয়াওয়ালি ও ইসলামাবাদ।
বর্তমানে দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দি ইমরান তার সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। এ পরস্থিতিতে আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কারান্তরীণ অবস্থায়ও ইমরানের পক্ষে নির্বাচনে লড়া সম্ভব।
পার্লামেন্টের পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান গহর খান বলেছেন, 'ইমরান খান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির (সংসদের নিম্নকক্ষ) তিনটি আসন থেকে নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।'
পাকিস্তানে রাজনীতিবিদরা জেতার সম্ভাবনা বাড়াতে সাধারণত একাধিক আসন থেকে নির্বাচন করেন।
ইমরান এখন আদিয়ালা কারাগারে বন্দি আছেন। চলতি বছরের ৫ আগস্ট তোশাখানা মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের সাজার রায় দেন।
এ সাজার ফলে ইমরান আগামী পাঁচ বছরের জন্য সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অযোগ্য হয়ে পড়েন। ইমরান অবশ্য সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেন।
পরে ওই মাসেই তিন বছরের সেই সাজা স্থগিত করেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। তবে এখন অন্যান্য মামলা থাকায় ইমরান কারাগারেই আছেন।
তোশাখানা মামলার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছেন ইমরান। রায় ইমরানের পক্ষে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ইমরানের আইনজীবী আলী জাফর জানা।
আলী জাফর বলেন, 'দলের কর্মীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে না দেওয়া অগণতান্ত্রিক চর্চা। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে এটি। এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আমরা নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করব।'
এদিকে পিটিআই চেয়ারম্যান গহর খান জানিয়েছেন, আজ বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) ইমরানের কাছে মনোনয়নপত্র পৌঁছে দেওয়া হবে। দলীয় টিকিট বরাদ্দের সিদ্ধান্ত এখনও ইমরানই নেবেন বলে জানান গহর।
সাবেক নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা কানওয়ার দিলশাদ বলেছেন, ইমরানের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দিতে পারেন।
দিলশাদ বলেন, 'নির্বাচনে অংশ নিতে ইমরান খানকে লম্বা আইনি লড়াই চালাতে হবে। কাগজে-কলমে তিনি সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্য হলেও কার্যত তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।'
এ সপ্তাহেই ইমরান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সাহায্য নিয়ে তার সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য দিয়েছেন।
উনিরাব ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসেন। কিন্তু ২০২২ সালে বিরোধীদলের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের জেরে তাকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়।