বৃহস্পতির চাঁদে নিজের নাম পাঠাতে চান? সুযোগ দিচ্ছে নাসা, শেষদিন আজ
বৃহস্পতি গ্রহের চাঁদ ইউরোপায় পৃথিবী থেকে বার্তা পাঠাচ্ছে নাসা। তবে কোনো জটিল বার্তা নয়, এমনকি এলিয়েনের প্রতি কোনো পত্রও নয়; বরং বোতলে করে ২০ লাখের বেশি নাম পাঠাচ্ছে মার্কিন এ মহাকাশসংস্থাটি। আর এ যাত্রায় চাইলে আপনিও নিজের নাম পাঠাতে পারবেন ইউরোপায়।
সেজন্য আপনাকে বছর শেষ হওয়ার আগেই নাসা'র ওয়েবসাইটে গিয়ে সাইন আপ করে নাম লিখতে হবে।
২০২৪ সালের অন্যতম প্রত্যাশিত মহাকাশ মিশন নাসা'র ইউরোপা ক্লিপার নভোযান উৎক্ষেপণ। আগামী অক্টোবরে কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে এটির উড্ডয়নের কথা রয়েছে। ইউরোপায় পৌঁছাতে এটিকে পাড়ি দিতে হবে ২৯০ কোটি কিলোমিটার পথ।
ইউরোপা'র কক্ষপথ পর্যন্ত নভোযানটির পৌঁছাতে পৌঁছাতে পৃথিবীতে সময় গড়িয়ে ২০৩০ সালে ঠেকবে। পরের কয়েক বছর বরফে ঢাকা চাঁদটির চারপাশ প্রদক্ষিণ করবে ক্লিপার। বরফের তলায় থাকা সমুদ্র প্রাণ ধারণে রাখায় সক্ষম কি না তা দেখাই হবে এ মিশনের উদ্দেশ্য।
সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের যেসব চাঁদে সমুদ্র রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে প্রাণের সন্ধানের ক্ষেত্রে পৃথিবীর পর ইউরোপাকেই সবচেয়ে উত্তম পরিবেশ বলে বিবেচনা করা হয়।
৯টি বৈজ্ঞানিক সরঞ্জামের পাশাপাশি মার্কিন জাতীয় পয়েট লরিয়েট অ্যাডা লিমনের 'ইন প্রেইজ অভ মিস্ট্রি: আ পোয়েম ফর ইউরোপা' শীর্ষক একটি কবিতাও বহন করবে ইউরোপা ক্লিপার।
বৃহস্পতির কড়া তেজস্ক্রিয়তা থেকে বাঁচাতে নভোযানটিতে একটি ভল্টের অভ্যন্তরে এর সূক্ষ্ম ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জামগুলো রাখা হবে। ওই ভল্টের ভেতরেই একটি ধাতব প্লেটে কবিতাটি লিমনের হস্তাক্ষরে খোদাই করে দেওয়া হবে।
আর সেই সঙ্গে মাইক্রোচিপের মধ্যে স্টেনসিল করে মানুষদের পাঠানো নামগুলো বসানো হবে। নাসা তাদের এ ক্যাম্পেইনটির নাম দিয়েছে 'মেসেজ ইন আ বটল'।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার পাসাডেনায় অবস্থিত নাসা'র জেট প্রপালশন ল্যাবরেটোরিতে ইউরোপা ক্লিপার তৈরি করছেন বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা।
সিলিকনের চিপে নামগুলো স্টেনসিল করবেন টেকনিশিয়ানরা। আকারের দিক থেকে মানুষের চুলের প্রস্থের এক হাজার ভাগের এক ভাগের চেয়েও কম হবে এক একটি নাম।
মহাকাশে মানুষের নাম পাঠানোর কাজ নাসা আগেও করেছে। অতীতে আর্টেমিস ১, পার্সিভেরেন্স রোভার, ও পার্কার সোলার প্রোবে পৃথিবীবাসীর নাম পাঠিয়েছে নাসা।