যেভাবে আত্মগোপনে থেকে নির্বাচনি প্রচারণা চালিয়েছেন পিটিআই’র প্রার্থীরা
নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও পাকিস্তানের নির্বাচনে ইমরান খানের দলের প্রার্থীদের নিয়মিত বিরতিতেই জয়ের খবর আসছে। পিটিআই-এর (পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান জেলে, নির্বাচনে লড়া থেকেও নিষিদ্ধ; তবে দলটি সবসময় বলে এসেছে জয়ের ব্যাপারে তারা হাল ছাড়বে না।
দলটির অনেক প্রার্থী কারাগারে থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনি প্রচারণা চালিয়ে গিয়েছিলেন। আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তারা জেলে থেকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর 'সুযোগ' পেয়েছেন।
অনেকে আবার একেবারেই জনসমক্ষে আসেননি, প্রচারণা করেছিলেন গোপন অবস্থান থেকে।
উত্তর পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রাদেশিক মন্ত্রী ছিলেন আতিফ খান। নির্বাচনি প্রচারণার অংশ হিসেবে তিনি ভিডিওবার্তা ব্যবহার করেছেন। একটি তিন মিটার পর্দা গাড়ির সঙ্গে জুড়ে দিয়ে তার সমর্থকেরা সে গাড়ি নিয়ে পুরো এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছিলেন।
গত মে মাস থেকে আত্মগোপনে আছেন আতিফ। সমর্থকদের কাছে বার্তা পাঠাতে এটাই তার কাছে একমাত্র উপায় ছিল। কর্তৃপক্ষ বলছে, আতিফ খান একজন পলাতক আসামী। আতিফ মনে করেন, তার বিচার হলেও সেটা ন্যায্য হবে না।
বিবিসিকে তিনি এর আগে বলেছিলেন, 'পিটিআই-এর সবচেয়ে বড় শক্তি তরুণ সমর্থকেরা। তারা ডিজিটাল মিডিয়া, মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। তাই আমরা ভাবলাম, ওগুলোর মাধ্যমেই তাদের কাছে আমরা নির্বাচনি প্রচারণা চালাব। এই ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করেই প্রচারণা চালানোর একমাত্র উপায় খোলা আছে আমাদের সামনে।'