পাকিস্তানের নির্বাচনে প্রধান খেলোয়াড় তারাই!
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১২ ঘণ্টা পর ফল ঘোষণা শুরু হয়। দীর্ঘ সময় ধরে ফল আটকে রাখায় বা স্পষ্ট করে কিছু না বলায় প্রশ্ন উঠেছিল।
নির্বাচন পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, পাকিস্তানের অতীতের নির্বাচনগুলোকে বিবেচনায় নিলে এবারের ফল ঘোষণায় এমন বিলম্ব অস্বাভাবিক।
যদিও ফল ঘোষণা শুরুর পর প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করছে।
২০২৪ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে সবার নজর যাদের দিকে:
বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (৩৫)
গত বছরের শেষের দিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি।
তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে। বেনজির ২০০৭ সালে নির্বাচনী প্রচারণার সময় নিহত হন।
বিলাওয়ালের বাবা আসিফ আলী জারদারি ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
তার দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) দেশের যুবসমাজ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে প্রচারণা চালিয়েছিল।
ইমরান খান (৭১)
কারাগার থেকেই নির্বাচনে লড়ছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
দুর্নীতি ও ফৌজদারি মামলায় গত আগস্ট মাস থেকে কারাগারে আছেন ক্রিকেট তারকা থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া ইমরান খান।
যদিও ইমরান তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তার আইনজীবীরা বলেছেন, ইমরান খান তার সাজার বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
এবারের নির্বাচনে পিটিআইকে দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া হয়নি।
এমনকি তাদের ক্রিকেট ব্যাট প্রতীক কেড়ে নেওয়া হয়। তাই তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সদস্যরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নওয়াজ শরিফ (৭৪)
গত বছরের শেষের দিকে যুক্তরাজ্যে চার বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন কাটিয়ে দেশে ফেরেন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তিনি কারাবন্দি অবস্থায় গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
আদালত তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ এবং আজীবন রাজনীতি থেকে নিষেধাজ্ঞার রায় বাতিলের পর তার নির্বাচনে লড়াইয়ের পথ প্রশস্ত হয়।
তার দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) জানিয়েছে, দেশের ধুঁকতে থাকা অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করতে এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিনি চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে চান।