পাকিস্তানে জোট সরকার গঠনে সম্মত বড় দুই দল
টানা দশ দিনের আলোচনা শেষে জোট সরকার গঠনে আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে পৌঁছেছে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। এ চুক্তির মধ্য দিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে সরকার গঠন নিয়ে শুরু হওয়া অনিশ্চয়তা ও আলোচনার অবসান হলো।
ইসলামাবাদে মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বিলাওয়াল বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ প্রধানমন্ত্রী পদে জোটের প্রার্থী হবেন।
তিনি আরও জানান, তার বাবা আসিফ আলী জারদারি দেশটির প্রেসিডেন্ট পদে জোটের প্রার্থী হবেন। সংবাদ সম্মেলনে বিলাওয়ালের পাশেই বসা ছিলেন শেহবাজ শরিফ।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই শেহবাজ শরিফ বলেন, সরকার গঠনের জন্য দুটি দল মিলিয়ে পর্যাপ্ত আসন রয়েছে। সেইসঙ্গে ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলোরও সমর্থন রয়েছে।
পাকিস্তানের গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ৭৯টি আসনে জয় পায় পিএমএল-এন। অন্যদিকে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়ালের পিপিপি পায় ৫৪টি আসন। তাদের সঙ্গে ছোট আরও চারটি দল যোগ দেওয়ায় জাতীয় পরিষদের ২৬৪টি আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এগিয়ে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানই এখন তাদের।
অন্যদিকে ১০১ আসনে জয়লাভ করেন স্বতন্ত্ররা। তাদের ৯৩ জনই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআইয়ের।
তবে নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী কোনো দলেরই এককভাবে সরকার গঠনের জন্য পর্যাপ্ত আসন নেই। তাই দেশটির সরকার কে বা কারা গঠন করবে তা নিয়ে নির্বাচনের পর থেকেই জল্পনা-কল্পনা চলছিল।
ভুট্টো জারদারি বলেন, যত শিগগির সম্ভব সরকার গঠনের জন্য দলগুলো চাপ দেবে।
দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পার্লামেন্টের একটি অধিবেশন ডাকতে হবে। এর পর নতুন প্রধানমন্ত্রীর জন্য ভোট হবে।