নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসলামি দলগুলো, খতিয়ে দেখছে ঐক্যের সম্ভাবনা
দেশের ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দলগুলো আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করছে। এখনও নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা না হলেও এসব দল নিজেদের মধ্যে সমন্বয় জোরদার করা এবং সম্ভাব্য জোট গঠনের বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিগত নির্বাচনগুলোতে ইসলামি দলগুলোর উল্লেখযোগ্য আসন পাওয়ার রেকর্ড নেই। ভোট পাওয়ার হারও ছিল অনেক কম। তবে এবার ইসলামপন্থি দলগুলো দেশজুড়ে সভা-সমাবেশ করছে, সমর্থকদের সক্রিয় করছে।
নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগামী নির্বাচনে ইসলামি দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনি ঐক্য হতে পারে। এ বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে নিয়মিত সভাও হচ্ছে। যদিও সেটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বর্তমানে দলগুলো এককভাবে নির্বাচনের জন্য নিজেদের প্রার্থীদের প্রস্তুত করছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুসারে, নিবন্ধিত ৫৩টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ইসলামি দল রয়েছে ১১টি। এর মধ্যে ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও খেলাফত মজলিসের প্রভাব বেশি। তবে বর্তমানে নিবন্ধন না থাকলেও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিক অঙ্গনে ইসলামি দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী বিবেচনা করা হয়।
এছাড়া অন্য নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, জাকের পার্টি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি।
এর বাইরে নিজেদের 'অরাজনৈতিক' সংগঠন দাবি করা হেফাজতে ইসলামেরও ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে।
এসব দল রাজনৈতিক প্রভাব বাড়ানো এবং নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে কৌশল নির্ধারণ করছে।
অতীতের নির্বাচনগুলোতে আসন ও ভোট পাওয়ার হার অনেক কম হলেও ইসলামি দলগুলোর নেতারা বলছেন, বিভিন্ন সময় জোটবদ্ধ নির্বাচন হওয়ায় ভোটের হার স্পষ্টভাবে উঠে আসেনি।
সাম্প্রতিক একটি ঘটনায় ইসলামপন্থি দলগুলোর ঐক্যের সম্ভাবনা নিয়ে জোর আলোচনা তৈরি হয়েছে। গত মঙ্গলবার জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বরিশালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চরমোনাই দরবারে যান। এ ঘটনা দুই দলের আরও কাছাকাছি আসার ইঙ্গিত দিয়েছে।
কোনো জোট গঠনের বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য না দিলেও দুই দলের প্রধান ভবিষ্যৎ ঐক্যের ইঙ্গিত দিয়েছেন। এ সাক্ষাৎ আগামী নির্বাচনে ইসলামি দলগুলোর নির্বাচনি ঐক্যের সম্ভাবনা আরও সুসংহত হয়েছে বলে মনে করছেন দলগুলোর নেতারা।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শফিকুর রহমান বলেন, 'আমাদের এই সম্মিলন শেষ নয়, শুরু হিসেবে যেন কবুল হয়। আমরা এক আছি, একসঙ্গে কাজ করব।'
এ সময় ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমও ঐক্যের আভাস দিয়ে বলেন, 'আগে থেকেই বলছি, ইসলামের পক্ষে ভোটকেন্দ্রে আমরা যেন একটি [ব্যালট] বাক্স বসাতে পারি। সে চেষ্টাই চলছে। ৫৩ বছর ধরে ইসলামি দলগুলোকে বিভিন্ন কৌশলে দূরে রাখা হয়েছে। আগে অনেক রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় যেতে আমাদের সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করেছে।'
'বর্তমান পরিস্থিতিতে বলা যায়, আমরা (জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন) কাছাকাছি আসছি। তাই আমি সবার কাছে দোয়া চাই, আমরা যেন একসঙ্গে কাজ করে দেশ গড়তে পারি।'
ইসলামী আন্দোলনের গণমাধ্যমবিষয়ক সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম কবির টিবিএসকে বলেন, জামায়াতের আমীর চরমোনাই দরবারে সৌজন্য সাক্ষাতে এসেছিলেন। 'বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়েছে। বিশেষ করে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিষয়ে দুদলই ঐকমত্য পোষণ করেছে। এছাড়া নির্বাচনে একটি আসনে ইসলামি দলগুলোর একটি [ব্যালট] বক্স থাকার বিষয়েও ঐকমত্য পোষণ করেছেন।'
বিগত নির্বাচনগুলোতে ইসলামি দলগুলোর পারফরম্যান্স
বিগত নির্বাচনগুলোতে ইসলামি দলগুলো কখনও এককভাবে কখনও জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করেছেন। তবে জামায়াতে ইসলামী ছাড়া অন্য দলগুলোর সাফল্যের হার ছিল প্রায় শূন্যের কোঠায়।
জামায়াতে ইসলামী এ যাবৎকালে সবচেয়ে বেশি আসন পায় ১৯৯১ সালে। সে বছর ২২২টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ১৮টি আসনে জয়লাভ করে দলটি। ভোটের হার ছিল ১২.১৩ শতাংশ। এরপর ১৯৯৬ সালে ৮.৬১ শতাংশ, ২০০১ সালের নির্বাচনে ৪.২৮ শতাংশ এবং ২০০৮-এর নির্বাচনে ৪.৭৯ শতাংশ ভোট পায় দলটি। যদিও ২০০১ ও ২০০৯ সালের নির্বাচনে যথাক্রমে ৩১টি ও ৩৯টি আসনে প্রার্থী দেয় দলটি।
ইসলামী আন্দোলন ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে ইসলামী ঐক্যজোট থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। শুধু ১৯৯৬ সালে ১টি আসনে জয়লাভ করেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী। এরপর ২০০১ সালে ৩ আসনে ও ২০০৮ সালে ১৬৭ আসনে ইসলামী আন্দোলন নির্বাচনে অংশ নেয়। কোনো আসন পায়নি দলটি, তাদের ভোটের হার ছিল ১ শতাংশেরও কম।
এছাড়া অন্যান্য ইসলামী দল বা জোট নির্বাচন করলেও এসব নির্বাচনে ১ শতাংশেরও নিচে ভোট পেয়েছিল।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মুখপাত্র অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, 'জামায়াতের ভোট কমেছে, এটা বলার সুযোগ নেই। কারণ শেষের নির্বাচনগুলোতে জামায়াত জোটবদ্ধভাবে অংশ নিয়েছিল। এ কারণে শুধু যে কয়টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে, ভোটের হারে সে আসনগুলোর ভোটই কাউন্ট হয়েছে।'
ইসলামী আন্দোলনের শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, 'স্বাধীনতার পর কোনো নির্বাচন স্বচ্ছ হয়নি। প্রতিটি নির্বাচনে কালো টাকা ও পেশিশক্তির প্রভাব ছিল। এ কারণে আগের নির্বাচনগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে ইসলামি দলগুলোর অবস্থান স্পষ্ট হবে না। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হলে তা স্পষ্ট হবে।'
৩০০ আসনের প্রস্তুতি জামায়াতের
৩০০ আসনেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত। কেন্দ্রীয় নেতারা জেলায় জেলায় ব্যাপক গণসংযোগ করছেন।
জামায়াত সূত্র জানায়, অন্তত ১৫০ আসনে প্রার্থী আগে থেকেই ঠিক করা হয়েছে। অন্য আসনগুলোতেও সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রস্তুত করছেন তারা।
দলটির মুখপাত্র অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, 'নির্বাচনের বিষয়ে জামায়াতের প্রস্তুতি রয়েছে। জামায়াত নিজেরাই ৩০০ আসনে প্রার্থী প্রস্তুত করছে। তবে নির্বাচন এলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে এককভাবে, নাকি জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া হবে, তা এখনই বলার সুযোগ নেই। এখন জামায়াতের প্রার্থীরা মতবিনিময়, গণসংযোগ করার মধ্য দিয়ে সারা দেশে তাদের তৎপরতা চালাচ্ছেন।'
ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচনি ঐক্য নিয়ে সম্পর্ক আগের চেয়েও মজবুত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'ইসলামি অন্যান্য দলগুলোর সাথে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ চলছে। আমরা একে অপরের সাথে বসছি। আগের চেয়ে আমাদের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে।'
সংস্কার ও নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমরা সরকারের কাছে সংস্কার ও নির্বাচন—দুটো রূপরেখা চেয়েছি। সংস্কারের তো শেষ নেই। অন্তর্বর্তী সরকার কতটুকু সংস্কার করবে সেটা স্পষ্ট করুক এবং নির্বাচন কবে হবে, সেটাও স্পষ্ট করুক।'
ডিসেম্বরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কার সম্পন্ন করার পর পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে জাতীয় ঐকমত্য তৈরির জন্য শীঘ্রই একটি কমিশন গঠন করা হবে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে চোখ ইসলামী আন্দোলনের
একইভাবে ৩০০ আসনের জন্য নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও। দলটির নেতৃবৃন্দও বিভিন্ন জেলায় সভা-সমাবেশ করছেন। তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে তাদের নজর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে।
ইসলামী আন্দোলনের গণমাধ্যমবিষয়ক সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, 'জাতীয় নির্বাচনের আগে আমাদের ফোকাস হলো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে। জাতীয় নির্বাচনেও আমরা এর আগে ৩০০ আসনে নির্বাচন করেছি। আবারও এককভাবে আমাদের ৩০০ আসনের প্রস্তুতি থাকবে। নির্বাচনের সময় ইসলামী দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ হতে পারে। তবে তার আগ পর্যন্ত আমাদের প্রস্তুতি সব আসনের জন্যই থাকবে।'
শহিদুল জানান, ডিসেম্বরে তাদের দলের অভ্যন্তরীণ সংস্কার আছে। কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূলসহ সব জায়গায় কমিটি হবে।
'তারপর কমিটিগুলো কেন্দ্রে ৩ জন করে নাম পাঠাবে। তার মধ্য থেকে আমাদের সর্বোচ্চ সভা থেকে নির্ধারিত হবে কারা নির্বাচনে যাবেন।'
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমরা চাই নির্বাচনের আগে সংস্কার হোক। সংস্কার না হলে নির্বাচন করে কোনো লাভ হবে না। তবে সংস্কারের সময় অনির্দিষ্ট নয়।'
আসন টার্গেট করে এগোচ্ছে অন্যরা
গত ৫ আগস্টের পর থেকে কয়েক ধাপে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। এর মধ্যে ইসলামি দলগুলোর মধ্যে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ছাড়াও হেফাজতে ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত আন্দোলন ও নেজামে ইসলাম রয়েছে।
এসব দল নিজেদের জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে আসনগুলোতে কাজ করছে। যেসব নেতৃবৃন্দের এলাকায় জনপ্রিয়তা ও কর্মী-সমর্থক বেশি, সেসব আসনকে টার্গেট করে তারা এগোচ্ছে।
খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রচার ও তথ্য সম্পাদক আবদুল হাফিজ খসরু বলেন, 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কতদিন থাকবে সেটা অনিশ্চিত। তবে নির্বাচন যখনই হয়, আমরা প্রস্তুত রয়েছি। আমরা সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম, সবগুলো তারা শেষ হয়তো করতে পারবে না। তবে আমরা চাই তারা অন্তত শুরু করুক।
'ফেব্রুয়ারির দিকে আগামী নির্বাচনের জন্য আমরা সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করতে পারব। ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার মতো সক্ষমতা আছে। তবে ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যদি সমঝোতা হয়, সেক্ষেত্রে ৪০-৪৫টি আসনে দেওয়ার মতো শক্ত প্রার্থী আমাদের রয়েছে।'
আবদুল হাফিজ বলেন, ইসলামি দলগুলোর মধ্যে মূলত জোট নয়, নির্বাচনি সমঝোতার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। 'অর্থাৎ এক আসনে অধিক ইসলামি দলগুলোর প্রার্থী দাঁড়াবে না। তবে এটা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।'
বুধবার বিএনপির সঙ্গে খেলাফত মজলিশের নেতৃ্বৃন্দ বৈঠক করেছেন। এ বিষয়ে আবদুল হাফিজ বলেন, 'আমরা ৫ আগস্টে যে দলগুলোকে নিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য হয়েছিল, সবার সাথেই আলাদা আলাদা বৈঠক করছি। তার অংশ হিসেবে বিএনপির সাথে বৈঠক করেছি। আমরা দুদলই ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনের বিষয়ে একমত। তবে এখানে নির্বাচনি জোট নিয়ে কোনো আলাপ হয়নি।'
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী টিবিএসকে বলেন, 'বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন দল হিসেবে আমরা সবসময়ই নির্বাচনমুখী ছিলাম। কিন্তু গত ১৬ বছর সুষ্ঠু নির্বাচনের অবস্থা না থাকায় আমরা কোনো নির্বাচনে গিয়েছি আবার কোনটিতে যাইনি।
'গত দুই-আড়াই মাস ধরে আমরা জেলায় জেলায় গণসংযোগ করছি। প্রায় শখানেক আসনে আমাদের শক্ত প্রার্থী রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে জেলাগুলোতে গিয়ে আগামী নির্বাচনের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। ইসলামি দলগুলোর সাথে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। ইসলামি দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা হলে তখন আলোচনা করেই প্রার্থীদের চূড়ান্ত করা হবে। তবে এটা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আপাতত আমরা নিজেদের প্রস্তুতি নিচ্ছি।'
হেফাজতের ভূমিকা
ইসলামি দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনি সমঝোতা হলে প্রভাবক হিসেবে কাজ করতে পারে হেফাজতে ইসলাম।
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গোলাম রাব্বানী টিবিএসকে বলেন, 'আমরা অরাজনৈতিক সংগঠন। তবে ইসলামি দলগুলোর নেতৃবৃন্দ আমাদের এখানে আছেন। তারা আবার রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বেও আছেন। তবে হেফাজত রাজনৈতিকভাবে প্রভাব রাখলেও রাজনীতিতে আসার এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেই।'
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত আন্দোলন ও নেজামে ইসলাম নেতৃবৃন্দের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।