মাউন্ট এভারেস্ট চড়তে নেপালের নতুন নিয়ম, রাখতে হবে বাধ্যতামূলক ট্র্যাকিং চিপ
২০২৪ সাল থেকে মাউন্ট এভারেস্ট আরোহণের সময় পর্বতারোহীদের ট্র্যাকিং চিপ ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করেছে নেপালি কর্তৃপক্ষ।
নেপালের পর্যটন বিভাগের পরিচালক রাকেশ গুরুং বলেন, 'যদিও কিছু নামি দামি কোম্পানি আগে থেকেই এই চিপ ব্যবহার করছে, তবে এখন সব পর্বতারোহীদের জন্য এটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।'
জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানকে আরও সহজ করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত। এজন্য পর্বতারোহীদেরকে তাদের জ্যাকেটে সেলাই করা প্রতিটি চিপের জন্য ১০ থেকে ১৫ ডলার প্রদান করতে হবে। পর্বতারোহীরা ফিরে এলে চিপটি পুনরায় অন্যদের ব্যবহারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে ফেরত দিয়ে দিতে হবে।
গুরং জানান, চিপগুলো ইউরোপের একটি দেশের তৈরি, তবে কোন দেশের তা নির্দিষ্ট করে বলেননি তিনি।
ট্র্যাকিং চিপগুলো গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) ব্যবহার করে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পর্বতারোহীদের অবস্থান ও অন্যান্য তথ্যাদি প্রেরণ করে।
নেপাল হয়ে যারা ৮,৮৪৯ মিটার উঁচু মাউন্ট এভারেস্ট চড়তে চান তাদের শুধু পারমিট বা অনুমতিপত্র পেতেই খরচ হয় ১১ হাজার ডলার। এছাড়া যন্ত্রপাতি, খাবার, অক্সিজেন, গাইড খরচ সহ অন্যান্য সব কিছু মিলিয়ে খরচের পরিমাণ দাঁড়ায় আনুমানিক ৩৫ হাজার ডলারে।
বিশ্বের দশটি সর্বোচ্চ শৃঙ্গের মধ্যে আটটিই নেপালে অবস্থিত এবং পর্বতারোহণ থেকেই দেশটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রাজস্ব আয় করে।
মাউন্ট এভারেস্ট আরোহণ করতে দুই মাসের মতো সময় লেগে থাকে। সাধারণত মে মাসের মাঝামাঝি খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল এবং পর্বত আরোহণের জন্য অনুকূল থাকে।
গত বছর নেপাল রেকর্ড ৪৭৮জন কে এভারেস্ট আরোহণের অনুমতি বা পারমিট প্রদান করে। এর মধ্যে ১২ জনের নিশ্চিত মৃত্যু এবং পাঁচজনকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিখোঁজ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
এভারেস্টের দুর্গম ঢালে উদ্ধার করা অনুকূল পরিস্থিতিতেও অনেক কষ্টসাধ্য কাজ। ২০২৩ সালে ৩০ বছর বয়সী গেলজে শেরপা এভারেস্টের 'ডেথ জোনে' এক মালয়েশিয়ান পর্বতারোহীকে উদ্ধারের জন্য নিজের চূড়ায় পৌঁছানোর সুযোগ ত্যাগ করেন। পর্যটন বিভাগের কর্মকর্তা বিজ্ঞান কৈরালা সে সময় রয়টার্সকে জানান, 'ওই উচ্চতায় পর্বতারোহীদের উদ্ধার করা প্রায় অসম্ভব'।
অনুবাদ: সাকাব নাহিয়ান শ্রাবন