দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হলেন শেহবাজ শরিফ
দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন শেহবাজ শরিফ। দেশটির নবগঠিত পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের ভোটে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি দেশটির জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফল ঘোষণায় বিলম্ব হওয়ায় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ ওঠে। নির্বাচনে প্রতিটি দলই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন লাভ করতে ব্যর্থ হয়। তাই জোট সরকার গঠন নিয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা চলছিল।
টানা কয়েকদিনের আলোচনার পর জোট সরকার গঠনে সম্মত হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।
পরে দলীয়ভাবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেহবাজ শরিফকে মনোনয়ন দেয় পিএমএল-এন। পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে শেহবাজ শরিফের বিপরীতে ছিলেন পিটিআই মনোনীত ওমর আইয়ুব খান।
নির্বাচনে ৭৯টি আসনে জয় পায় পিএমএল-এন। অন্যদিকে পিপিপি পায় ৫৪টি আসন। তাদের সঙ্গে ছোট আরও চারটি দল যোগ দেয়।
অন্যদিকে ১০১টি আসনে জয়লাভ করেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্ররা।
উল্লেখ্য, ৭২ বছর বয়সী শেহবাজ শরিফ তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও পিএমএল-এন নেতা নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই। ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার মাধ্যমে তিনি ২০২২ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়াও শেহবাজ শরিফ পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ পাঞ্জাবের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।