প্রতিদিন ‘মাথা খারাপ করে দেওয়া চাকরি’ ছাড়ার চিন্তা করেন কানাডার জাস্টিন ট্রুডো
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো প্রায়ই তার 'মাথা খারাপ করে দেওয়া চাকরি' ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা করেন। কিন্তু আবার নির্বাচনে যাওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে তার।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) রেডিও-কানাডাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন ট্রুডো। খবর বিবিসি'র।
রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্রমশ বেশি চাপের মুখে পড়ছেন ট্রুডো। বিভিন্ন জরিপে দেখা যাচ্ছে, কানাডিয়ানদের মধ্যে তিনি ক্রমাগত জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন।
আগামী ২০২৫ সালের অক্টোবরের মধ্যে কানাডার পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন হতে হবে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোর বিভিন্ন জনমত জরিপ অনুযায়ী, কানাডিয়ানদের মধ্যে বর্তমান সরকার নিয়ে অসন্তুষ্টি ক্রমশ বাড়ছে। আবাসন সংকট, জীবনযাত্রার খরচ বৃদ্ধি নিয়ে ট্রুডোর সরকারের ওপর নাখোশ তারা।
জনমত জরিপে প্রধান বিরোধী দল কনজার্ভেটিভদের চেয়ে বেশ পিছিয়ে আছে ট্রুডোর লিবারেল সরকার।
'ট্রুডো ব্র্যান্ডের' কারণে লিবারেল পার্টি মুখ থুবড়ে পড়ে এমন উদ্বেগের মাঝে জল্পনা শুরু হয়েছে, ট্রুডো হয়তো এবার বের হওয়ার পথ খুঁজছেন।
কিন্তু ২৪ মিনিটের ওই সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি এ মুহূর্তে এ লড়াইয়ে হাল ছেড়ে দেওয়ার মতো মানুষ না।'
'আমি প্রতিদিনই ছেড়ে দেওয়ার কথা চিন্তা করি। আমার কাজটা একেবারে মাথা খারাপ করে দেওয়ার মতো চাকরি। আমাকে ব্যক্তিগতভাবে অনেক কিছু ছাড় দিতে হয়,' বলেন জাস্টিন ট্রুডো।
'বলা বাহুল্য, কাজটা বেশ কঠিন। মাঝেমধ্যে মারাত্মক একঘেয়েও,' বলেন ২০১৫ সাল থেকে কানাডার ক্ষমতায় থাকা ট্রুডো।
৫২ বছর বয়সি ট্রুডো বলেন, তিনি রাজনীতিতে এসেছেন 'জনপ্রিয় হওয়ার জন্য নয়, ব্যক্তিগত কারণে নয়'। বরং তিনি দেশের 'সেবা করতে চান এবং তিনি জানেন দেশকে দেওয়ার মতো তার কিছু আছে'।
রেডিও-কানাডাকে ট্রুডো বলেন, তিনি রাজনীতির ময়দানেই থাকতে চান।