১২৪ বছর বয়স! ১৯০০ সালে জন্ম, বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির দাবিদার পেরু
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর সরকারি কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, তাদের দেশের মারসেলিনো এবাদ নামে এক ব্যক্তির জন্ম ১৯০০ সালে। সে হিসেবে তার বয়স এখন ১২৪ বছর। এ দাবি সত্য প্রমাণিত হলে তিনিই হবেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত ব্যক্তি।
মারসেলিনো পেরুর মধ্যাঞ্চল হুয়ানুকোর বাসিন্দা। গত ৫ এপ্রিল ১২৪তম জন্মদিন পালন করেন তিনি। বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির স্বীকৃতি পেতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে আবেদনের জন্য সরকার তাকে সহযোগিতা করছে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের এক মুখপাত্র এক বিবৃতিতে রয়টার্সকে বলেন, 'অনেকগুলো আবেদন জমা পড়েছে, যেখানে অনেকেই নিজেদের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি বলে দাবি করেছেন। এসব আবেদনের যথার্থতা ও সত্যতা প্রমাণের জন্য বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করছেন।'
এর আগে সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ ছিলেন ভেনিজুয়েলার হুয়ান ভিসেন্তে পেরেজ মোরা। তার বয়স হয়েছিল ১১৪ বছর। তার মৃত্যুর পর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী এখন সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত পুরুষ যুক্তরাজ্যের ব্রিট জন আলফ্রেড টিনিসউড। তার বয়স ১১১ বছর। অন্যদিকে সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত নারীর বয়স ১১৭ বছর।
তবে এ পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে রেকর্ডে যাদের নাম উঠেছে, তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ একজনের বয়স ছিল ১২২ বছর। পেরু সরকারের দাবি সত্য হলে এই ব্যক্তিকেও ছাড়িয়ে যাবেন মারসেলিনো।
মারসেলিনোর জন্ম পেরুর ছাগজা নামে ছোট্ট এক শহরে। ২০১৯ সালে সরকার তাকে সরকারি পরিচয়পত্র ও পেনসনের ব্যবস্থা করে দেয়। এর আগ পর্যন্ত তার কথা জানত না সরকার।
জন্মদিন পালনের সময় মারসেলিনো গত ৫ এপ্রিল বলেছিলেন, তার দীর্ঘ জীবনের রহস্য হলো তিনি পরিমিত খাবার খান। আর তিনি যা খান তার বেশিরভাগই ফলমূল। আর মাংস খেলে ভেড়ার মাংস খান। এছাড়াও তার কোকা গাছের পাতা চিবানোরও অভ্যাস রয়েছে তার।
অনুবাদ: রেদওয়ানুল হক