ভারতের মুম্বাইতে বিমানের আঘাতে কয়েক ডজন ফ্ল্যামিঙ্গোর মৃত্যু
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মুম্বাইতে দুবাই থেকে আগত এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বিমানের আঘাতে অন্তত ৩৯টি ফ্ল্যামিঙ্গো মারা গেছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাখিগুলো স্বাভাবিক পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে ফ্লাইটের পথে চলে এসেছে কিনা তা এখনো পরিষ্কার নয়।
ঘটনাটি নিয়ে বিক্ষুব্ধ পরিবেশবাদীরা এ ধরনের ঘটনার জন্য জন্য অতিরিক্ত স্থাপনা নির্মাণকেই দায়ী করেছেন।
প্রতি বছরের নভেম্বর মাসের দিকে মুম্বাই হাজার হাজার ফ্ল্যামিঙ্গোর অস্থায়ী আবাসে পরিণত হয়। গোলাপি পাখিগুলোকে এক ঝলক দেখার জন্য স্থানীয় ব্যক্তি সহ পর্যটকদের সরব উপস্থিতিতে মুখরিত হয় মুম্বাই।
এমিরেটস এয়ারলাইন্স এর একজন মুখপাত্র বিমানের সাথে ফ্ল্যামিঙ্গোর সংঘর্ষ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে এমিরেটস সহায়তা করছে।
সোমবার ঘাটকোপারের স্থানীয় শিশুরা রাস্তার পাশে বেশ কিছু ফ্লেমিঙ্গোর মৃতদেহ ছড়িয়ে থাকতে দেখার পর ঘটনাটি জানাজানি হয়।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, স্থানীয়রা বন্যপ্রাণী কর্মকর্তাদের ৫০০ মিটার এলাকা জুড়ে ফ্ল্যামিঙ্গোর মৃতদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার ব্যাপারে অবগত করেছিল।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবকরা মিলে সোমবারে (২০ মে) ২৯টি এবং মঙ্গলবারে (২১ মে) আরো ১০টি ফ্ল্যামিঙ্গোর মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পরিবেশবিদরা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, পাখিগুলো কাছাকাছি একটি অভয়ারণ্যের দিকে উড়ে যাওয়ার সময় সেগুলোর পথ পরিবর্তন করার ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
পরিবেশবিদ স্টালিন ডি পাখিদের পথ পরিবর্তনের জন্য এ অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা বৈদ্যুতিক তারকে দায়ী করেছেন। তিনি মনে করেন, ফ্ল্যামিঙ্গোগুলো এ তারগুলো পার করার চেষ্টা করার সময় অপ্রত্যাশিতভাবে বিমানটি সেগুলোকে আঘাত করে।
এই ঘটনাটি মুম্বাইয়ের উপকূলীয় অঞ্চলের কাছাকাছি চলমান নির্মাণ কার্যক্রম নিয়ে নতুন করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেক পরিবেশবিদ নাভি মুম্বাইয়ের আসন্ন নতুন বিমানবন্দরের সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এটি ফ্ল্যামিঙ্গো দেখার জন্য বিখ্যাত একটি এলাকা।
তারা আশঙ্কা করছেন, বিমানবন্দর নির্মাণ কাজের সময় ও পরবর্তীতে যানবাহন চলাচলের কারণে ফ্ল্যামিঙ্গোগুলো আরো দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে।
অনুবাদ: তাসবিবুল গনি নিলয়