এবার কাতার এয়ারওয়েজের বিমানে জোর 'টার্বুলেন্স', ১২ যাত্রী আহত
কয়েকদিন আগেই সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরগামী একটি ফ্লাইটে তীব্র ঝাঁকুনিতে (টার্বুলেন্স) এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার রেশ না কাটতেই এবার কাতার থেকে আয়ারল্যান্ডগামী একটি ফ্লাইটে তীব্র ঝাঁকুনিতে ছয়জন যাত্রী এবং ছয়জন কেবিন ক্রু আহত হয়েছেন।
রবিবার (২৬ মে) ডাবলিন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, দোহা থেকে আয়ারল্যান্ডগামী কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইট কিউআর১০৭ তুরস্কের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় টার্বুলেন্সের শিকার হয়। তবে ফ্লাইটটি পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী দুপুর ১টার কিছুক্ষণ আগে নিরাপদে ডাবলিন বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এই সময় বিমানবন্দর পুলিশ এবং ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগের কর্মীরা যাত্রী ও ক্রুদের জরুরি সেবা দেয়।
ডাবলিন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, 'তারা বিমানটির যাত্রী এবং কর্মীদের সর্বোচ্চ সেবা ও সহায়তা প্রদান করছে।'
এর আগে, গত মঙ্গলবার লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরগামী একটি ফ্লাইটে ৭৩ বছর বয়সী এক ব্রিটিশ নাগরিকের মৃত্যু হয়।
ওইদিন সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের বিমানটি তিন মিনিটের মধ্যে ১,৮০০ মিটার নিচে নেমে যায়। এতে একজন ক্রু সদস্যসহ আরও ৫৩ জন যাত্রী আহত হন।
ওই ফ্লাইটের পাইলটরা বাধ্য হয়ে থাইল্যান্ডে জরুরি অবতরণ করেন।
জলবায়ু পরিবর্তনে বাড়ছে বিমানে ঝাঁকুনির ঝুঁকি
মেঘাচ্ছন্ন আকাশে ওড়ার সময় সাধারণত বিমানে ঝাঁকুনি হয়। তবে 'পরিষ্কার আবহাওয়ায়'-ও কখনো কখনো ঝাঁকুনি দেখা যায়, যা বিমানের রাডারে দেখা যায় না বা এর পূর্বাভাস দেওয়াও সম্ভব হয় না।
বিমানে ঝাঁকুনিতে আহত হওয়ার ঘটনা তুলনামূলকভাবে বিরল। লাখ লাখের মধ্যে অল্প কিছু ফ্লাইটে এমন ইতিহাস দেখা যায়।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ জন স্ট্রিকল্যান্ড বিবিসিকে বলেন, 'তবে কখনো কখনো তীব্র ঝাঁকুনি হতে পারে। এতে যাত্রীরা গুরুতর আহত হতে পারে বা প্রাণহানিও ঘটতে পারে।'
ফ্লাইট ক্রুদের ঝাঁকুনি মোকাবিলায় সাড়া দেওয়ার ব্যাপারেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, 'বিমান সংস্থাগুলো কিন্তু এমনি এমনিই দূর কিংবা স্বল্পপাল্লার সব ফ্লাইটেই যাত্রীদের সিটবেল্ট ঢিলা করে বেঁধে রাখার পরামর্শ দেয় না। এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে কৌশলটি কাজে লাগে।'
গবেষণায় জানা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভবিষ্যতে আকাশপথে বিমানের ফ্লাইট চলাচলে তীব্র ঝাঁকুনির শঙ্কা আরও বাড়বে।
গত বছর যুক্তরাজ্যের রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়াবিদদের এক গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চার দশক আগের তুলনায় আকাশ ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত অধিক দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে পড়েছে।