টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ২০২৪: এশিয়ার শীর্ষ ১০ বিশ্ববিদ্যালয়
টাইমস হায়ার এডুকেশনের (টিএইচই) ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ২০২৪-এ এশিয়ার শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এর মধ্যে চীনের ৭টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান)-এর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো র্যাঙ্কিংয়ে এশিয়ার অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছে।
২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়
১. সিংহুয়া ইউনিভার্সিটি, চীন
১৯১১ সালে প্রতিষ্ঠিত চীনের সিংহুয়া ইউনিভার্সিটি ৫১টি স্নাতক প্রোগ্রাম এবং ২০০টিরও বেশি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করে। উত্তরপশ্চিম বেইজিং-এ অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বের শীর্ষ ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। টাইমস হায়ার এডুকেশনের ১১টি বিষয়ের র্যাঙ্কিং-এ শীর্ষ ৪০-এ অবস্থান করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
২. পিকিং ইউনিভার্সিটি, চীন
১৯ শতকের শেষের দিকে প্রতিষ্ঠিত পিকিং ইউনিভার্সিটি চীনের প্রথম আধুনিক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ভৌত বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল বিষয়ক প্রোগ্রামের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি বিখ্যাত। ১১ মিলিয়ন বই এবং অবকাঠামো সহ এশিয়ার বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারটি পিকিং ইউনিভার্সিটিকে আরো সমৃদ্ধ করেছে।
৩. সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
সিঙ্গাপুরের প্রাচীনতম এবং বৃহত্তম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি গবেষণা এবং উদ্ভাবনে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। এটি প্রকৌশল, প্রযুক্তি, আইন এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানের মতো উল্লেখযোগ্য বিষয়ের জন্য বিশ্বব্যাপী র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ২০-এ স্থান পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক ছাত্রদের মধ্যে চারজন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি এবং দুইজন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।
৪. নানইয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি, সিঙ্গাপুর
নানইয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি সিঙ্গাপুরে তিনটি ক্যাম্পাস সহ একটি গবেষণাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। এটি এশিয়া ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ অবস্থানে থাকার পাশাপাশি প্রকৌশল, প্রযুক্তি ও কম্পিউটার বিজ্ঞানের মতো বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে।
৫. টোকিও ইউনিভার্সিটি, জাপান
জাপানের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় টোকিও ইউনিভার্সিটি তিন ধাপ এগিয়ে এশিয়ার শীর্ষ পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হিসেবে র্যাঙ্কিংয়ে জায়গা করে নিয়েছে। জাপানের প্রথম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ১৮৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিস্তৃত বিষয়ে অধ্যয়নের সুযোগ আছে। লিবারেল আর্ট এর ওপর জোড় দেওয়ার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশেষায়িত শিক্ষাকেও প্রাধান্য দেয়।
৬. হংকং বিশ্ববিদ্যালয়
হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের (এইচকেইউ) ১০টি অ্যাকাডেমিক অনুষদ রয়েছে যেখানে শিক্ষা দানের জন্য ইংরেজিকে প্রাথমিক ভাষা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অনুষদগুলোর হলো— স্থাপত্য, কলা, ব্যবসা এবং অর্থনীতি (এইচকেইউ বিজনেস স্কুল), দন্তচিকিৎসা, শিক্ষা, প্রকৌশল, আইন, মেডিসিন (লি কা শিং ফ্যাকাল্টি অফ মেডিসিন), বিজ্ঞান এবং সামাজিক বিজ্ঞান। ৯০টি দেশের প্রায় ৫ হাজার জনের বেশী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যয়ন করছে।
৭. সাংহাই জিয়াও টং ইউনিভার্সিটি, চীন
সাংহাই জিয়াও টং ইউনিভার্সিটির নয়টি প্রধান শাখায় ৬০ টিরও বেশি স্নাতক প্রোগ্রাম রয়েছে যার মধ্যে অর্থনীতি, আইন, সাহিত্য, বিজ্ঞান, প্রকৌশল, কৃষি ও চিকিৎসা অন্যতম। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১৬ হাজারের বেশি স্নাতক শিক্ষার্থী এবং ২লাখ ৮০ হাজারের বেশি স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১১টি রাষ্ট্রীয় গবেষণাগার ও জাতীয় প্রকৌশল গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে।
৮. ফুদান ইউনিভার্সিটি, চীন
ফুদান বিশ্ববিদ্যালয় চীনের সাংহাইয়ের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত এবং সাংহাই মিউনিসিপ্যাল গভর্নমেন্ট এটিকে সহ-অর্থায়ন করে। এটি ১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি স্নাতক কলেজ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির সাংহাইতে চারটি ক্যাম্পাস রয়েছে যা একই কেন্দ্রীয় প্রশাসন দ্বারা পরিচালিত।
৯. ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটি, চীন
ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটি চীনের ঝেজিয়াংয়ের প্রদেশের হ্যাংঝোতে অবস্থিত একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এটি চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৭টি অনুষদের পাশাপাশি ৩৭টি কলেজ, স্কুল এবং বিভাগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১৪০টির বেশি স্নাতক এবং ৩০০টি স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম রয়েছে।
১০. চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকং
এটি হংকং শা টিন এ অবস্থিত একটি পাবলিক রিসার্চ (গবেষণা) বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ইংরেজি এবং চীনা উভয় ভাষাতেই শিক্ষা দান করা হয়। চারজন নোবেল বিজয়ী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত ছিলেন।
ফুদান ইউনিভার্সিটি, ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটি ও চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকং এর তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া হয়েছে।
অনুবাদ: তাসবিবুল গনি নিলয়