টানা ৩য় বার বারাণসী জিতলেন মোদি, কিন্তু ২০১৯ সালের চেয়ে ভোটের ব্যবধান কমেছে প্রায় ৩ লাখ
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টানা তৃতীয়বারের জন্য বারাণসী লোকসভা আসন থেকে জয়ী হয়েছেন, তবে ২০১৯ সালের চেয়ে এবার ভোটের ব্যবধান কমেছে প্রায় তিন লাখ।
ভারতের নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) সূত্রে জানা গেছে, এ আসন থেকে মোদি ৬ লাখ ১২ হাজার ৯৭০ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস প্রধান অজয় রাই পেয়েছেন ৪ লাখ ৬০ হাজার ৪৫৭ ভোট। বিএসপির আতহার জামাল লারি ৩৩ হাজার ৭৬৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।
২০১৯ সালের একই আসন থেকে ছয় লাখ ৭৪ হাজার ৬৬৪ ভোট পেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদী পার্টির (এসপি) শালিনী যাদবকে হারান মোদি। ভোটের ব্যবধান তখন ছিল চার লাখ ৭৯ হাজার। এবার অজয় রাইয়ের সাথে ব্যবধান মাত্র এক লাখ ৫২ হাজার ৫১৩। অন্তত তিন লাখ ভোট হারিয়েছেন তিনি।
২০১৪ সালে মোদি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে পরাজিত করেন তিন লাখ ৭২ হাজার ভোটে। তৃতীয় স্থানে ছিলেন অজয় রাই। ২০১৪ সালে মোদির সঙ্গে মোট ৪১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, যার মধ্যে ১৯ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। ২০১৯ সালে সেই সংখ্যা নেমে আসে ২৬-এ, যার মধ্যে আটজন স্বতন্ত্র ছিলেন আটজন।
২০২৪ সালে, ৪১ জন প্রার্থী প্রাথমিকভাবে বারাণসী থেকে মনোনয়ন কিনলেও, শেষ পর্যন্ত তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন দুইজন স্বতন্ত্রসহ মোট ছয়জন প্রার্থী।
১৯৯১ সাল থেকে বিজেপি প্রতিবারই বারাণসীর এই আসনে জিতেছে। তবে ২০০৪ সালে কংগ্রেসের রাজেশ মিশ্র বিজেপির শঙ্কর প্রসাদ জয়সওয়ালকে ৫৭ হাজার ৪৩৬ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।
এ বছর শক্তিশালী ভোটার ভিত্তি থাকা সত্ত্বেও জয়ের ব্যবধান কমে যাওয়াকে মোদির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে মনে করেন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক টিপি সিং।
টিপি সিং বলেন, 'গতবার প্রধানমন্ত্রী ৪ লাখ ৭৯ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছিলেন। এখন যদি তিনি দুই লাখেরও বেশি ভোটে জয়ী হন, তাহলে বোঝা যাবে তার জনপ্রিয়তা কমেছে। যদিও আমাদের চূড়ান্ত পরিসংখ্যানের জন্য অপেক্ষা করতে হবে কারণ বারাণসী উত্তর এবং বারাণসী ক্যান্টের বিধানসভা কেন্দ্রগুলোতে গণনা এখনও বাকি রয়েছে, তবে এটি স্পষ্ট যে প্রধানমন্ত্রীর জয়ের ব্যবধান এবার হ্রাস পাবে। অমিত শাহ, রাজনাথ সিংয়ের মতো বিজেপি নেতাদের চেয়ে কম ভোটের ব্যবধানে জিতলে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।'
অনুবাদ: সাকাব নাহিয়ান শ্রাবন