জোটসঙ্গীদের সমর্থনে শনিবার তৃতীয়বারের মতো শপথ নেবেন মোদি
নরেন্দ্র মোদি আগামী ৮ জুন রেকর্ড তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালেও বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ)- জোটের প্রধান শরিকেরা মোদির প্রতি তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এদিকে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে মোদি নিজের ও মন্ত্রিসভার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আজ বুধবার দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। রাষ্ট্রপতি পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ করেছেন। পরে শপথ নেওয়ার আগ পর্যন্ত মোদিকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানানো হয়।
২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তারকারী মোদির প্রথমবারের মতো আঞ্চলিক মিত্রদের সমর্থন প্রয়োজন হবে।
যদিও বছরের পর বছর ধরে বিজেপির প্রতি এসব দলের আনুগত্য হ্রাস পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে জোট সরকার গঠনের ফলে মোদি সরকারকে বিভিন্ন নীতি প্রণয়নে জটিলতায় ভুগতে হবে।
বুধবার (৫ জুন) মোদির এনডিএ জোটের দুই শরিক দক্ষিণের অন্ধ্র প্রদেশের তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারের ক্ষমতাসীন জনতা দল (ইউনাইটেড) বিজেপির প্রতি তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এনডিএ জোটের বৈঠকের কথা উল্লেখ করে টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা এনডিএ'র সঙ্গে আছি, আমি আজ দিল্লিতে তাদের বৈঠকে যোগ দেবো।'
বুধবার সকালে ফেডারেল মন্ত্রিসভার বৈঠকে মোদির নতুন সরকার গঠনের আগে সাংবিধানিক আনুষ্ঠানিকতা অনুযায়ী পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, আগামী শনিবার (৮ জুন) মোদি ও তার নতুন মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণের সম্ভাবনা আছে।
৫৪৩ সদস্যের সংসদের নিম্নকক্ষে এনডিএ পেয়েছে ২৯৩টি আসন, যা সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২টি আসনের চেয়েও বেশি।
আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং সংস্থা ফিচ বলেছে, মোদির দল নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সংসদে নীতি প্রণয়ন ও এজেন্ডা সংস্কারের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জে পড়তে পারে।
গ্রামে আসন কমেছে
গ্রামীণ এলাকায় বিজেপির আসন সবচেয়ে বেশি কমেছে।
দেশটির সংবাদপত্রগুলো বলছে, মোদির আভা ম্লান হয়ে গেছে।
হিন্দুদের জন্য অন্যতম পবিত্র শহর হিসাবে বিবেচিত তার আসন বারাণসীতে মোদির নিজের ভোটও কমেছে। ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে মোদি ৫ লাখ ভোটে জিতেছিলেন। এবারের নির্বাচনে তিনি দেড় লাখের কিছু বেশি ভোটে জিতেছেন।
রাহুল গান্ধীর মধ্যপন্থী কংগ্রেস পার্টির নেতৃত্বাধীন বিরোধী ইনডিয়া জোট পেয়েছে ২৩০টি আসন, যা পূর্বাভাসের চেয়েও অনেক বেশি।
কংগ্রেস একাই ৯৯টি আসন জিতেছে, যা ২০১৯ সালে জেতা ৫২টি আসনের প্রায় দ্বিগুণ।
বুধবার নয়াদিল্লিতে ইনডিয়া জোটের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠকে ভবিষ্যতের কর্মপন্থা নিয়ে আলোচনা করবে জোটের সদস্যরা।