ইউরোপকে ‘প্রতিরক্ষা-হীন’ বললেন দৃঢ়চেতা পুতিন
ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করার পর থেকেই বারবার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুঁশিয়ারি দিচ্ছে মস্কো। স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিচ্ছে, রাশিয়ার মতো পারমাণবিক শক্তিধর একটি রাষ্ট্রকে পরাজিত করার চেষ্টা যারা করছে– তাদের জন্য বিধ্বংসী পরিণতি অপেক্ষা করছে। খবর বিবিসির।
এরমধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনে বিজয় অর্জনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের দরকার হবে না তাঁর দেশের।
আজ শনিবার (৮ জুন) রাশিয়ার ডাভোস-খ্যাত সেন্ট পিটার্সবার্গ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামের প্যানেল আলোচনায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে একথা বলেন তিনি।
প্যানেল আলোচনায় পুতিনকে প্রশ্নকর্তা ছিলেন সের্গেই কারাগোনাভ। রাশিয়ার এই পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞ পশ্চিমা শত্রুদের বিরুদ্ধে তাঁর আক্রমণাত্মক চিন্তাধারার জন্য পরিচিত। গত বছর তিনি কোনো ধরনের সতর্কবার্তা না দিয়েই পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের পরামর্শ দেন ক্রেমলিনকে। এরপর শনিবার তিনি পুতিনকে বলেন, পশ্চিমাদের দিকে পরমাণু অস্ত্রের 'বন্দুকটি তাক' এবার সত্যিই তাক করা উচিত নয় কী?
এসময় প্রশ্নকর্তার তুলনায় শান্তকামী ও ধীরস্থির ছিলেন পুতিন। তিনি জানান, রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের নীতিতে (নিউক্লিয়ার ডকট্রিন) কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
"তবে এটি একটি সক্রিয় নীতিমালা। বিশ্বব্যাপী যা ঘটছে আমরা সেদিকে নজর রাখছি, আর (প্রয়োজন হলে) এটি পরিবর্তনের সম্ভাবনাও থাকবে। এরমধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টিও রয়েছে" - বলেন রুশ রাষ্ট্রপ্রধান।
ইউক্রেনকে সহায়তাকারী ইউরোপীয় দেশগুলোকে পুতিন বলেন, "ইউরোপ মহাদেশে যত পারমাণবিক অস্ত্র মজুত আছে, তাঁর চেয়ে অনেক বেশি (ট্যাক্টিক্যাল পারমাণবিক অস্ত্র, এটি সীমিত ধ্বংস-সক্ষমতার যা কৌশলগত অস্ত্রের মতো ব্যাপক নয়) আছে রাশিয়ার। এমনকী যুক্তরাষ্ট্র যদি এ ধরনের অস্ত্র আরো মোতায়েন করে (ইউরোপে), তারপরেও রাশিয়ার পাল্লাই ভারী থাকবে।"
তাঁর মতে, "ইউরোপ (পরমাণু হামলার) নিজস্ব কোনো পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলেনি। সেই হিসাবে তারা বলতে গেলে এক প্রকার প্রতিরক্ষা-হীন।"