শেয়ারবাজারের দরপতনে বিশ্বের শীর্ষ ধনীরা হারালেন ১৩৪ বিলিয়ন ডলার
অ্যামাজনের শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় শুক্রবার (২ আগস্ট) জেফ বেজোসের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার কমেছে। বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ৫০০ ধনীরা একদিনে সর্বসাকুল্যে ১৩৪ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ হারিয়েছেন।
ব্লুমবার্গ বিলিয়ন ইনডেক্স অনুযায়ী, অ্যামাজনের শেয়ারের দাম ৮ দশমিক ৮ শতাংশ কমে যাওয়ায় বেজোসের মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ১৯১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল ৩৬ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২২ সালের ২৯ এপ্রিল ২০ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছিলেন বেজোস। একদিনে এটি বেজোসের তৃতীয় সর্বোচ্চ দরপতন।
নাসডাক ১০০ সূচকের ২ দশমিক ৪ শতাংশ হ্রাস পাওয়ায় ইলন মাস্ক এবং ল্যারি এলিসনের মতো অন্যান্য প্রযুক্তি বিলিয়নিয়াররাও যথাক্রমে ৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার এবং ৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছেন। সম্ভাব্য ফেডারেল রিজার্ভের হার কমানো এবং দুর্বল আয়ের প্রতিবেদন সম্পর্কে উদ্বেগের কারণে প্রযুক্তি-ভারী সূচকটি হ্রাস পেয়েছে, তিন সপ্তাহের মধ্যে ২ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্য কমেছে।
স্বল্পমেয়াদি মুনাফা কমলেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পেছনে বড় ব্যয় অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেওয়ার পর ২০২২ সালের এপ্রিলের পর থেকে অ্যামাজনের শেয়ারের দাম সবচেয়ে বেশি কমেছে।
মেটা ও অ্যালফাবেটের শেয়ারের দরপতনের কারণে টেক বিলিয়নিয়ার মার্ক জাকারবার্গ, সের্গেই ব্রিন এবং ল্যারি পেজ প্রত্যেকে ৩০০ কোটি ডলারের বেশি হারিয়েছেন। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সব মিলিয়ে শুধু প্রযুক্তি বিলিয়নিয়াররা ৬৮ বিলিয়ন ডলার খুইয়েছেন।
বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী ৬০ বছর বয়সী বেজোস এ বছর ধারাবাহিকভাবে অ্যামাজনের শেয়ার বিক্রি করছেন। ফেব্রুয়ারিতে নয় কার্যদিবসে প্রায় ৮৫০ কোটি ডলারের শেয়ার বিক্রি করেন তিনি। গত মাসে তিনি আরও আড়াই কোটি শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেন, যার মূল্য ৫০০ কোটি ডলার।
ব্লুমবার্গের হিসেব অনুযায়ী, শেয়ার বিক্রির ফলে এ বছর তার মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ১৩.৫ বিলিয়ন ডলারে। এই বিক্রির পরেও অ্যামাজনের প্রায় ৮ দশমিক ৮ শতাংশ শেয়ারের মালিক থাকবেন তিনি।
এছাড়া মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিন ও সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট থেকেও মোটা অঙ্কের অর্থ আসে তার।
অনুবাদ: সাকাব নাহিয়ান শ্রাবন