গ্রেপ্তার সিইও পাভেল দুরভের 'লুকানোর কিছু নেই': টেলিগ্রাম
মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পাভেল দুরভকে স্থানীয় সময় শনিবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় প্যারিসের উত্তরে লো বোর্জে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করেছে ফরাসি পুলিশ।
টেলিগ্রামের সাথে সম্পর্কিত অপরাধের জন্য একটি ওয়ারেন্ট জারি হওয়ায় ৩৯ বছর বয়সী দুরভকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
দুরভকে গ্রেপ্তার করার পর টেলিগ্রাম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শনিবার ফ্রান্সে আটক হওয়া প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) "লুকানোর কিছু নেই।"
মূলত টেলিগ্রাম ব্যবহার করে ঘটতে থাকা বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকলাপ বন্ধ করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে পাভেল দুরভের বিরুদ্ধে। অ্যাপটি মাদক পাচার ও প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপরাধের বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহযোগিতা না করার জন্য অভিযুক্ত হয়েছে।
টেলিগ্রাম বিবৃতিতে বলেছে, "শিল্প মান অনুযায়ী অ্যাপটিকে পরিচালনা করা হয় এবং এটিকে ক্রমাগত উন্নত করা হচ্ছে।"
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, "একটি প্ল্যাটফর্ম বা তার মালিককে সেই প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহারের জন্য দায়ী করা হাস্যকর।"
টেলিগ্রাম জানিয়েছে, পাভেল দুরভ প্রায়ই ইউরোপে ভ্রমণ করেন এবং অ্যাপটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন, বিশেষ করে ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট [নিরাপদ এবং দায়িত্বশীল অনলাইন পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে] মেনে চলে।
২০১৩ সালে পাভেল দুরভ টেলিগ্রাম প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০১৪ সালে তিনি রাশিয়া ত্যাগ করেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, ফ্রান্সের রুশ দূতাবাস এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে 'তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ' নিচ্ছে।
ব্যবহারকারীদের তথ্য সরবরাহ করতে অস্বীকার করায় ২০১৮ সালে রাশিয়া টেলিগ্রাম অ্যাপটি নিষিদ্ধ করে, তবে ২০২১ সালে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ও উইচ্যাটের পর অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রাম। রাশিয়া, ইউক্রেন এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশগুলোতে এটি বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
রাশিয়া এখনও পাভেল দুরভকে রুশ নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুরভের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে কোনো অনুরোধ না পাওয়া সত্ত্বেও ফ্রান্সে অবস্থিত রুশ দূতাবাস তার অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। দূতাবাস দুরভের আটক হওয়ার কারণ বোঝার চেষ্টা করছে এবং তার অধিকার রক্ষা করতে কাজ করছে।
তবে ফরাসি কর্তৃপক্ষ তাদের যথাযথ সহযোগিতা করছে না বলে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।