৭৭ শতাংশ কর্মী মনে করেন এআই টুল তাদের উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দিয়েছে: আপওয়ার্কের গবেষণা
কর্পোরেট জগতের অধিকাংশ পরিসরেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে। এক্ষেত্রে সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা যায়, প্রায় ৭৭ ভাগ কর্মীই মনে করেন যে, এইআইয়ের ফলে তাদের উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দিয়েছে।
দ্য আপওয়ার্ক রিসার্চ ইন্সটিটিউট প্রায় ২৫০০ কর্মীকে নমুনা হিসেবে নিয়ে গবেষণাটি করা হয়েছে। জুলাইয়ে প্রকাশিত গবেষণাটিতে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীরা অংশ নিয়েছিল।
গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, প্রায় ৯৬ ভাগ শীর্ষ কর্মকর্তা মনে করেন যে, এআই টুল তাদের কোম্পানিগুলোর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করবে। কিন্তু এআই টুল ব্যবহার করা কর্মীরা অবশ্য ভাবছে ভিন্ন কথা। এদের প্রায় ৭৭ ভাগ কর্মী মনে করেন, টুলটি তাদের উৎপাদনশীলতা বরং কমিয়ে দিচ্ছে।
দুই ধাপের কর্মকর্তাদের ভাবনায় এমন ভিন্নতা থাকার পেছনে অবশ্য কারণও রয়েছে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী কর্মীদের কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৩৯ ভাগে এআই সহায়ক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যদিকে ৪৬ ভাগ কোম্পানিগুলো নিজেদের অভ্যন্তরে ও অবকাঠামোতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন না এনেই কর্মীদের এআই টুল ব্যবহারে উৎসাহিত করছে।
এদিকে প্রায় ৪৭ ভাগ কর্মী জানান, উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর কথা বলা হলেও এআই ব্যবহারের কৌশলগুলো সম্পর্কে তাদের কোনো জানাশোনা নেই। আর এ কারণেই টুলটির সফলতা মোটাদাগে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এক্ষেত্রে দ্য আপওয়ার্ক রিসার্চ ইন্সটিটিউটের প্রধান ড. কেলি মোনাহান স্পষ্ট করেছেন যে, তাদের গবেষণার ফলাফলে এআইয়ের বিরুদ্ধে কিছু বলা হয়নি। বরং যারা এখনো কাজের ক্ষেত্রে পুরোনো মডেল ব্যবহার করছে তাদের সতর্ক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, "আমাদের গবেষণায় এআইকে কার্যকর করার ক্ষেত্রে মোট তিনটি বিষয়ে বিনিয়োগের পুনর্বিবেচনার কথা বলা হয়েছে। প্রথমত, এআই প্রজেক্টে কর্মীদের খাপ খাওয়াতে সহযোগী হিসেবে বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞ আনা। দ্বিতীয়ত, কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের উৎপাদনশীলতা পরিমাপ করা। আর তৃতীয়ত, দক্ষতা-ভিত্তিক নিয়োগের দিকে গুরুত্ব প্রদান করা।"
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান