নদীর প্রাকৃতিক সর্পিল গতিপথ ফিরিয়ে দিতে হবে, তাতে ঠেকানো যাবে বন্যার মতো দুর্যোগ
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে আঁকাবাঁকা পথে চলা নদীগুলোকে মানুষ নিজের সুবিধার্থে সোজা করেছে। এখন এই নদীগুলোকে ফের আগের সেই প্রাকৃতিক সর্পিল পথে চলতে দিলে বন্যা প্রতিরোধ ও বন্যপ্রাণীর জন্য স্বাস্থ্যকর আবাস সৃষ্টি করা সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। খবর বিবিসির।
ইংল্যান্ডের লেক ডিস্ট্রিক্টের কামব্রিয়ার মাঠ, কৃষিজমি ও উপত্যকার বুক চিরে সাপের মতো এঁকেবেঁকে এগিয়ে গেছে সুইন্ডেল বেক নদী। তবে কিছুদিন আগেও নদীটি অনেক বেশি সোজা পথে প্রবাহিত হতো।
একটি সুস্থ নদী হওয়া উচিত সর্পিল, অবাধে প্রবহমান এবং বন্যপ্রাণে পরিপূর্ণ। এর ব্যত্যয় ঘটলেই বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এ কারণেই ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে নদীর গতিপথ আদি অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
বাঁধের মতো কৃত্রিম বাধা দিয়ে ব্রিটেনের ৯৭ শতাংশ নদীকে বিভক্ত করা হয়েছে। দেশটিতে এখন প্রতি ১.৫ কিলোমিটার নদীতে অন্তত একটি কৃত্রিম বাধা রয়েছে। আর শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে নদীগুলোকে ধীরে ধীরে খালের আকার দেয়া হয়েছে, অথবা গতিপথ কৃত্রিমভাবে সোজা করে ফেলা হয়েছে, যাতে পানি ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি প্লাবিত না করে।
কিন্তু নদীর প্রাকৃতিক বাঁকগুলো মুছে দেওয়ার ফলে হিতে বিপরীত হয়েছে। এতে নদীর প্রবাহ ব্যাহত হয়েছে,নষ্ট হয়েছে জলজ বাসস্থান। পাশাপাশি পানির গুণমান খারাপ হয়েছে এবং বেড়েছে বন্যার ঝুঁকি।
বন্যপ্রাণী, নর্দমার দূষণ ও কৃষিকাজে ব্যবহৃত রাসায়নিকের কারণে ইউরোপের রুগ্ণ নদী ও জলধারাগুলো নিয়ে নিয়মিত আলোচনা হচ্ছে। ফলে ইউরোপ তার নদীগুলোর স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনতে প্রাকৃতিক সমাধানের দিকে ঝুঁকছে।
কিছু নদী পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে প্রাকৃতিক বন্যা ব্যবস্থাপনা (এনএফএম) কৌশলে, যেমন গাছ ও কাঠের বাঁধ, বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে। এর একটি উদ্দেশ্য হলো সোজাপথে প্রবহমান নদীগুলোর বাঁক ফিরিয়ে আনা।
নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নদীগুলোকে ধীরে ধীরে তাদের প্রাকৃতিক পথে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। আর যুক্তরাজ্য ইতিমধ্যেই ধীরে ধীরে এর সুফল পেতে শুরু করেছে। গতিপথে বাঁক ফিরিয়ে আনায় কামব্রিয়া ও ওয়েস্ট সাসেক্সের নদীতে ফিরে আসছে মাছ, পাখি ও ক্ষুদ্র জলজ প্রাণী।
২০০ বছর আগে ফসলি জমির জন্য বাড়তি জায়গা বের করতে সোজা করা হয়েছিল সুইন্ডেল বেককে। কিন্তু ২০১৬ সাল থেকে নদীটিকে তার প্রাকৃতিক গতিপথে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করা হয়। রয়্যাল সোসাইটি ফর দ্য প্রটেকশন অভ বার্ডসের (আরএসপিবি) নেতৃত্বে নেওয়া এ প্রকল্পের লক্ষ্য আরও বৈচিত্র্যময় বাসস্থান ও কাঠামো তৈরি করা।
আরএসপিবির ওয়াইল্ড হাওয়েসওয়াটারের সাইট ম্যানেজার গ্লেন সোয়েনসন বিবিসিকে বলেন, একটি আদর্শ নদী হবে 'অত্যন্ত গতিশীল, জটিল ও উদ্দাম'। নদী উদ্দাম বয়ে যাবে পাথরের ওপর দিয়ে, দ্বীপ, চর তৈরি করবে। প্লাবনভূমিতে একটি নদী যত বেশি বাঁক নেবে ও শাখাপ্রশাখার বিস্তার ঘটাবে, তত বেশি খাল-নালা ও জলধারা পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত ও বিচ্ছিন্ন হবে।
সংস্থাটি উপত্যকা পরীক্ষা করে দেখে সুইন্ডেল বেকের আদি গতিপথ কোথায় ছিল। তারপর একটি দল নিয়ে নদীর গতিপথের আকার বদলানো ও নতুন নতুন খাল তৈরির জন্য খননকাজ শুরু করে। নদীটির ১ কিলোমিটার অংশ ফের বাঁকাতে ২ লাখ ৬০ হাজার ডলারের বেশি ব্যয় হয়েছে।
প্রথমে তারা নদীর মূল গতিপথের ম্যাপ তৈরি করেন। তারপর খননদল তিন মাস ধরে নদীর নতুন বাঁক তৈরি করে। এখন সুইন্ডেল বেকের দৈর্ঘ্য দুই শতাব্দী ধরে উপত্যকার বুক চিরে বয়ে চলা খালাকৃতির জলধারার চেয়ে প্রায় ১৮০ মিটার বেড়েছে।
ওয়াইল্ডফাউল অ্যান্ড ওয়েটল্যান্ডস ট্রাস্টের (ডব্লিউডব্লিউটি) প্রাকৃতিক বন্যা ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ টম হায়েক বলেন, নদীর বাঁক ফিরিয়ে আনার দুটো বড় সুবিধা আছে। বাঁক বাড়ালে নদীর পানি প্রবাহের বেগ ও পরিমাণ দুটোর ওপরই প্রভাব পড়ে। প্রথমত, এর ফলে নিম্নাঞ্চলের দিকে পানিপ্রবাহের বেগ কমে। এর কারণ হচ্ছে, নদীতে বাঁকের সংখ্যা বেড়ে গেলে এর দৈর্ঘ্যও বেড়ে যায়। আর নদীর দৈর্ঘ্য যখন বাড়ে, তখন পানি বিস্তৃত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে নদীর উজানের দিকে বেশি পানি মজুত থাকতে পারে; আর ওইসব জায়গাতেই সাধারণত বাঁক তৈরি হয় বেশি। এক্ষেত্রে ভাটি এলাকায়—যেখানে বন্যা বড় সমস্যা হতে পারে—পানি যায় তুলনামূলক কম ও ধীরগতিতে।
দ্বিতীয় প্রভাবটা পড়ে গতির ওপর। সহজভাবে বলতে গেলে, নদীর কাঠামোতে যত বেশি বাঁক ও অবকাঠামো যুক্ত করা হয়, পানি তত ধীরে প্রবাহিত হয়। নদী যদি সোজা হয়, পানি দ্রুতবেগে প্রবাহিত হবে—হায়েকের ভাষায়, রীতিমতো 'উড়ে' যাবে।
হায়েক বলেন, মূল নদীর সঙ্গে ছোট ছোট জলধারা ও শাখাপ্রশাখা যুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নদীতে পানির পরিমাণ ও পানি প্রবাহের বেগ দুটোই বাড়ে। আর পানির পরিমাণ নদীর ধারণক্ষমতাকে ছাড়িয়ে গেলেই ঘটে বন্যা।
হায়েক বলেন, আগে বন্যা সামাল দেয়ার জন্য পানি ধারণক্ষমতা বাড়াতে নদী খনন করা হতো। কিন্তু এতে মূল সমস্যার সমাধান হয় না। বরং বিশেষজ্ঞরা এখন প্রাকৃতিক বন্যা ব্যবস্থাপনার দিকে ঝুঁকছেন। এ পদ্ধতিতে নদীর মূল প্লাবনভূমি ফিরিয়ে আনা হয়।
এদিকে ইউরোপে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ধ্বংসাত্মক বন্যার কারণে নদী নিয়ে আলোচনা বেড়েছে, বিশেষত অস্ট্রিয়া, পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র ও রোমানিয়ার বন্যার পর। এতে ২০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
অবশ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোটখাটো বন্যার প্রভাব কমাতে নদীগুলোর আদি গতিপথ ফিরিয়ে আনা সহায়ক হতে পারে। তবে সাম্প্রতিক চরম বন্যা প্রতিরোধে এটি যথেষ্ট নয়, কারণ এ বন্যায় পানির পরিমাণ অনেক বেশি ছিল।
বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উষ্ণ বাতাসে আর্দ্রতা বৃদ্ধির ফলে ইউরোপের কিছু এলাকায় বৃষ্টিপাত ও বন্যা বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাঁধ অপসারণ ও প্লাবনভূমি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নদীগুলোকে তাদের আদি অবস্থায় ফিরিয়ে আনলে বন্যার উচ্চ ঝুঁকির কমতে পারে। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইউরোপজুড়ে বিভিন্ন পুনরুদ্ধার প্রকল্পের পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে বা চলমান রয়েছে।
সোয়েনসন বলেন, পানিপ্রবাহের গতি যখন ধীর করা হয়, তখন নদীতে মাছেদের বিশ্রাম ও সমবেত হওয়ার জন্য গভীর জায়গা তৈরি হয়। এছাড়া তখন নদীর কিছু কিছু এলাকায় ছোট নুড়ি জমে। ওইসব জায়গা স্যামন মাছের ডিম ছাড়ার জন্য আদর্শ হয়ে ওঠে।
ওয়াইল্ড হাওয়েসওয়াটারের ভিজিটর এক্সপেরিয়েন্স ম্যানেজার অ্যানাবেল রাশটন বলেন, সুইন্ডেল বেককে আদি অবস্থায় ফিরিয়ে এনে আশ্চর্য ফল পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, প্রকৃতি সংরক্ষণ একটি দীর্ঘমেয়াদি কাজ। কেউ একটি গাছ লাগালে তার জীবদ্দশায় ওই গাছ পূর্ণ বিকাশিত হবে না। কিন্তু সুইন্ডেল বেকের বাঁক ফিরিয়ে আনার মাত্র তিন মাসের মধ্যেই এতে ১৫০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো প্রজনন করতে আরম্ভ করে স্যামন মাছ।
শুধু স্যামনই নয়, নদীতে ট্রাউটসহ অন্যান্য ছোট ছোট মাছের সংখ্যাও বেড়েছে। এছাড়া নদীতে ও নদীতীরে পানিপ্রিয় উদ্ভিদও ফিরে এসেছে, যা অল্পবয়সি মাছেদের খাবার ও লুকানোর জায়গা জোগাচ্ছে।
বাঁক ফিরিয়ে আনায় সুইন্ডেল বেকের ময়লাও পরিষ্কার হয়েছে। কারণ, কৃত্রিমভাবে সোজা করা নদীর পানি দ্রুত প্রবাহিত হয় এবং পলি জমে বেশি। আগে ময়লা, ঘোলা পানি গিয়ে পড়ত হাওয়েসওয়াটার জলাধারে। এখন বাঁকগুলো নদীতীরে পলি জমতে সহায়তা করে।
কামব্রিয়ায় ১০০টিরও বেশি পুনরুদ্ধারপ্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে। তবে সোয়েনসন সতর্ক করে বলেন, নদীর বাঁক ফিরিয়ে আনার সমাধানটি সব ক্ষেত্রে খাটবে না। তিনি বলেন, প্রত্যেকটি নদীর দৃশ্যপট, আচরণ ও মাটির ধরন আলদা। তাই আগে থেকেই এ সমাধানের সুফল আন্দাজ করা কঠিন।
তিনি বলেন, সুইন্ডেল বেকের ক্ষেত্রে ওই এলাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব ছিল খুবই কম। উপত্যকায় প্লাবনভূমি এলাকায় কয়েকটি বাড়ি ছাড়া আর কিছু ছিল না। যদি নদীর উভয় তীরে অনেক জমির মালিক থাকত, তাহলে কাজটি আরও জটিল হতো।
তবে পরিবর্তনশীল জলবায়ু নদী পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তা বাড়িয়ে তুলছে। প্রথমত, আবহাওয়ার ধরন বদলে যাচ্ছে, বিশেষ করে গ্রীষ্মে বৃষ্টি বেশি হওয়ার কারণে। এছাড়া বৃষ্টিপাতের মাত্রাও বদলে যাচ্ছে। হায়েক বলেন, বছরজুড়ে এখন আর খুব বেশি স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয় না। বরং অতীতের চেয়ে ১০ গুণ বেশি বৃষ্টিপাত হয় এখন।
উন্নয়নকাজ ও কংক্রিটের ভূতল ভয়াবহ বন্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে। হায়েক বলেন, সর্পিল গতিপথের নদীকে সোজা করে, কঠিন পৃষ্ঠতল বানিয়ে ও জলবায়ু পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা এক জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছি। এর ফলে এখন প্রাকৃতিক বন্যা ব্যবস্থাপনা কৌশলের গুরুত্ব বেড়েছে। এ কৌশলে প্রাকৃতিক উপকরণ ও প্রক্রিয়া কাজে লাগিয়ে নদীর অববাহিকায় পানি ধরে রাখার পাশাপাশি পানি প্রবাহের বেগ কমানো হয়।
উদাহরণস্বরূপ, নদীতে গাছের ডালপালা বা কাণ্ড ফেলে প্রাকৃতিক বাধা তৈরি করা হয়—যা 'লিকি ড্যাম' নামে পরিচিত। এতে পানি তীরে আটকে থাকে এবং সময় নিয়ে ধীরে ধীরে প্রবাহিত হয়। অন্যান্য কৌশলের মধ্যে রয়েছে নদীতীরে গাছ লাগানো, পুকুর তৈরি ইত্যাদি।
পশ্চিম সাসেক্সের হরশামে অবস্থিত নেপ ক্যাসল এস্টেটের বুক চিরে গেছে অ্যাডার নদী। একসময় এ এস্টেটে ব্যাপক চাষাবাদ হতো। ২০০১ সালে অ্যাডার নদীর বাঁক ফিরিয়ে আনা হয়। এখন এটি নদী পুনরুদ্ধারের মডেল হিসেবে বিবেচিত।
নদীটির দৈর্ঘ্য ৩২ কিলোমিটার। তবে ১৮০০-র দশকে খামার ক্ষেত্র তৈরির জন্য এর আশেপাশের জমিতে অনেকগুলো নালা কেটে নেওয়া হয়। এর ফলে নদী প্লাবনভূমি এলাকা থেকে সরে এসে পার্শ্ববর্তী শহরকে প্লাবিত করতে আরম্ভ করে। ২০০১ সালে অ্যাডার নদীর আদি বাঁকগুলো ফিরিয়ে আনার প্রকল্প শুরু হয়।
সুইন্ডেল বেকের মতো এখানেও লক্ষ্য ছিল অ্যাদার নদীর পানিপ্রবাহের গতি ধীর করা। নেপ এস্টেটের নদী পুনরুদ্ধার ব্যবস্থাপক মেলানি স্যান্ডার্স বলেন, '(এখন) বৃষ্টি হলে পানি খুব দ্রুত জমি থেকে নেমে যায়। জনবসতিতে না গিয়ে পানি খাল, জলধারা ও নদী দিয়ে প্রবাহিত হয়।'প্রকল্পটিতে অন্যান্য প্রাকৃতিক বন্যা ব্যবস্থাপনা কৌশল কাজে লাগানো হয়েছে—যেমন বাঁধ (উইয়্যার) অপসারণ ও গাছের ডালপালা ফেলা। নদীটির গতিপথ মূল অবস্থায় ফিরিয়ে এনে প্লাবনভূমি এলাকায় ছোট ছোট জলাশয় ও পুকুর খননের মাধ্যমে জলাভূমিও তৈরি করা হয়েছে। স্যান্ডার্স বলেন, 'এগুলো ফড়িংয়ের মতো পোকামাকড় আর উভচর প্রাণী এবং এখানে খাবার খুঁজতে আসা ডাঙার পাখিদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।'
তিনি জানান, নদীটির আদি গতিপথ পুনরুদ্ধারের পর এ এলাকায় স্ত্রী বাদুড়ের আনাগোনা বেড়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, স্থানটি খাদ্য সংগ্রহের জন্য খুব ভালো, কেননা বাদুড়গুলো কাছাকাছিই কোথাও বাসা বেঁধেছে।
হায়েক বলেন, প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে নদীর বাঁক ফিরিয়ে আনার কাজ করতে হবে। নদীগুলোকে তাদের সম্পূর্ণ প্লাবনভূমিতে ফিরিয়ে নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।