সাহিত্যে নোবেল জিতলেন দক্ষিণ কোরিয়ার হান কাং
২০২৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার সাহিত্যিক হান কাং।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য তার নাম ঘোষণা করেছে সুইডিশ একাডেমি।
পুরস্কার ঘোষণায় নোবেল কমিটি বলেছে, হান কাংকে নোবেল দেওয়া হয়েছে 'তার গভীর কাব্যিক গদ্যের জন্য, যা ঐতিহাসিক দুঃখ-যন্ত্রণা তুলে ধরে এবং মানুষের জীবনের নাজুকতা প্রকাশ করে।'
গত বছর সাহিত্যে নোবেল পেয়েছিলেন নরওয়েজিয়ান লেখক জন ফসে।
হান কাং ১৯৭০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার শহর গোয়াংজুতে জন্মগ্রহণ করেন। নয় বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে তিনি সিউলে চলে যান।
তার বাবাও একজন স্বনামধন্য ঔপন্যাসিক। লেখার পাশাপাশি হান কাং শিল্প ও সঙ্গীতেও সুদক্ষ। আর তার এ গুণের প্রভাব পড়েছে তার সাহিত্যিক সৃষ্টিতেও।
হান কাং ১৯৯৩ সালে 'সাহিত্য ও সমাজ' শীর্ষক পত্রিকায় বেশ কয়েকটি কবিতা প্রকাশের মাধ্যমে তার সাহিত্যজীবন শুরু করেন। ১৯৯৫ সালে ছোটগল্প সংকলন 'ইয়েসুর প্রেম' দিয়ে গদ্যজগতে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। এর পরেই উপন্যাস এবং ছোটগল্প উভয় ধরনের লেখা শুরু করেন তিনি।
২০১৬ সালে তার 'দ্য ভেজিটেরিয়ান' উপন্যাস ম্যান বুকার আন্তর্জাতিক পুরষ্কার জিতেছিল। এটি তার প্রথম উপন্যাস যা ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়। তার আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয় বইগুলোর মধ্যে এটিকেই প্রধান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
হান কাংয়ের রচনায় মানব জীবনের ভঙ্গুরতার প্রকাশ স্পষ্ট। দেহ এবং আত্মা, জীবিত এবং মৃতের মধ্যে সংযোগ সম্পর্কে তার মধ্যে একটি অনন্য সচেতনতাবোধ রয়েছে।