চিন্ময় ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তার ও জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় ভারতের উদ্বেগ
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার এবং তার জামিন নাকচ করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। তারা এ গ্রেপ্তারের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগের কথা জানিয়েছে দিল্লি।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার ও তার জামিন নামঞ্জুরের বিষয়টি গভীর উদ্বেগের। বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর একাধিক হামলার পর এ ঘটনা ঘটলো। এছাড়া সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের পাশাপাশি মন্দির অপবিত্র করার মতো ঘটনাও ঘটেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দুর্ভাগ্যজনকভাবে এসব ঘটনায় অভিযুক্তরা অধরা রয়েই গেছে। আর তখন শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে ন্যায্য দাবি উত্থাপনকারী একজন ধর্মীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা উচিত নয়। তাছাড়া তার গ্রেপ্তারে বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদকারী সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়টিও উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা হচ্ছে।
এছাড়া বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে হিন্দুসহ সকল সংখ্যালঘুদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আজ সকালে তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী নানা কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন।
বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে। ওই সমাবেশের পরপরই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। তবে জানানো হয়, একটি অভিযোগের রিক্যুইজিশনের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।