গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়াল
গাজার হামাস সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৪৫ হাজার ২৮ জন নিহত হওয়ার তথ্য জেনেছেন তাঁরা। একইসময়ে অন্তত এক লাখ ৬ হাজার ৯৬২ জন আহত হয়েছেন।
এরমধ্যে কেবল গত ২৪ ঘণ্টাতেই ৫২ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা ও ২০৩ জনকে আহত করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজায় যেদিক চোখ যায় শুধু ধ্বংসের স্তূপ। যার নিচে শত শত নয়, হাজারে হাজারে মৃতদেহ আজো চাপা পড়ে রয়েছে বলে ধারণা করছে মানবিক সহায়তাকারী সংস্থাগুলো। একেবারেই ভেঙে পড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পক্ষে তাই হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা নিরুপণ অসম্ভব। বিশেষত যখন গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সুর্নিদিষ্ট লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালিয়েই যাচ্ছে ইসরায়েল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা অনেকগুণ বেশি হবে। যুদ্ধ শুরুর আগে গাজার জনসংখ্যা ছিল ২০ লাখের কিছু বেশি। সেখানে প্রাণহানির এই হার সাম্প্রতিক ইতিহাসের যেকোনো সংঘাতে হওয়া জনসংখ্যার তুলনায় প্রাণহানির হারকে ছাড়িয়ে গেছে।
গত জুলাইয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানের শীর্ষ জার্নাল ল্যানসেট জানায়, গাজা উপত্যকায় প্রকৃত মৃতের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৮৬ হাজার হতে পারে।
ল্যানসেটে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদেন বলা হয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে নিহতের যে সংখ্যা প্রচার করা হচ্ছে, সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ধ্বংস ভবনগুলোর নিচে চাপা পড়া এবং খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবার অভাবে মৃতদের হিসাবে ধরা হয়নি। তাদের হিসাবে ধরলে নিহতের সংখ্যা ১ লাখ ৮৬ হাজারের বেশি হবে।
ইসরায়েল দুধের শিশুদেরও ছাড় দেয়নি, বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারত এই যুদ্ধে ইসরায়েলকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠিয়েছে বলে ইতঃপূর্বে আল জাজিরার একটি প্রতিবেদনে উঠে আসে।
গত জুনে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় চলমান বর্বর হামলার মধ্যেই ইসরাইলকে গোপনে ক্ষেপণাস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক অস্ত্র দিয়েছে ভারত।
আল জাজিরা জানিয়েছে, গত মে মাসে ভারত বোরকাম নামে একটি কার্গো জাহাজে করে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও রকেট পাঠিয়েছে বলে কিছু নথিপত্রের তথ্য পাওয়া গেছে। আলজাজিরার হাতে আসা নথিগুলো থেকে বোঝা যায়, ইসরাইল গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর জন্য ভারতীয় অস্ত্র গ্রহণ করছে।