সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর উচ্চপদে বিদেশি যোদ্ধাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে: প্রতিবেদন
সিরিয়ার নতুন শাসক গোষ্ঠী দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সিনিয়র অফিসার পদে কয়েকজন বিদেশি যোদ্ধাকে নিয়োগ দিয়েছে বলে জানা গেছে। খবর বিবিসির।
চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করে হায়াত তাহরীর আল-শাম (এইচটিএস)। বর্তমানে গোষ্ঠীটি কার্যকরভাবে সিরিয়ার শাসনকার্য পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। তারাই সেনাবাহিনীকে পুনর্গঠন করছে।
যদিও এ পদক্ষেপের বিষয়ে সিরিয়ার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে দেশটির বেশ কয়েকটি সূত্রের অনুমান- প্রায় ৫০টি নতুন সামরিক পদের মধ্যে অন্তত ছয়টি পদে বিদেশিদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রকাশিত নামের তালিকার ওপর ভিত্তি করে সূত্রগুলো বলছে, সামরিক পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে কয়েকজন চীনের উইঘুর সম্প্রদায়ের এবং একজন করে জর্ডান ও তুর্কি নাগরিক রয়েছেন।
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের সময় বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীতে বিপুল সংখ্যক বিদেশি যোদ্ধার অংশগ্রহণ ছিল। বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার যোদ্ধা আসাদের পতনের আন্দোলনে অংশ নেন। এমনকি তাদের অনেকেই নিজস্ব গোষ্ঠীও গঠন করেছিল।
এইচটিএস বিরোধীরা প্রায়ই দাবি করত যে গোষ্ঠীটি মূলত বিদেশি জিহাদিদের নিয়ে গঠিত। আসাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হলে তার সমর্থকেরাও গোষ্ঠটির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনেছিল।
তবে বর্তমানে সিরিয়া ও এইচটিএস নেতা আহমেদ আল-শারা ইদলিবে বিদ্রোহী এলাকা পরিচালনার সময় তার দল থেকে কিছু বিদেশি যোদ্ধাকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। যাতে করে সবার কাছে তিনি তার দলকে জাতীয়তাবাদী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন।
ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আল-শারা বারবার ঐক্যবদ্ধ সিরিয়া রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর জোর দেন। এরই মধ্যে বিদেশিদের নিয়োগ দেওয়ায় এখন আল-শারা তার অঙ্গীকার কতটুকু পালন করবেন, তা নিয়ে দেশটির সাধারণ নাগরিকসহ অন্যরা আশঙ্কা করছেন।
কেউ কেউ বলছেন, আসাদ পতনের আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় বিদেশি যোদ্ধাদের পুরস্কৃত করতেই সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।