টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেয়ারে ইলন মাস্ক!
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/09/elon_in_trumps_chair.jpg)
টাইম ম্যাগাজিনের সর্বশেষ প্রচ্ছদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে বিশেষ ক্ষমতা পাওয়া ইলন মাস্ককে দেখা গেছে। লাল রঙয়ে আচ্ছাদিত প্রচ্ছদে দেখা যাচ্ছে, ইলন মাস্ক হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্টের রেজল্যুট ডেস্কের পেছনে বসে আছেন, হাতে কফির পেয়ালা। ছবিটি ট্রাম্পকে চটানোর কৌশল হতে পারে বলে উল্লেখ করেছে সিএনএন।
টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে সাংবাদিক সাইমন শুস্টার এবং ব্রায়ান বেনেট লিখেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন মাস্কের নেতৃত্বাধীন 'ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি'-কে (ডিওজিই) সরকারি কর্মচারীদের ব্যাপক ছাঁটাইয়ের ক্ষমতা দিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক কিছু আইনি পদক্ষেপের কারণে তার কার্যক্রম কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, 'এখন পর্যন্ত মাস্ককে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ছাড়া আর কারও কাছে দায়বদ্ধ বলে মনে হচ্ছে না, যিনি তার প্রচারণা দাতাকে সরকারকে তার এজেন্ডার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার জন্য ব্যাপক ম্যান্ডেট দিয়েছিলেন।
মাস্কের অফিস ডিওজিই টাইম ম্যাগাজিনের সকল প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গেছে বলেও জানিয়েছে টাইম ম্যাগাজিন।
টাইমের সাম্প্রতিক সংখ্যা গত কয়েক মাসে দ্বিতীয়বারের মতো মাস্ককে প্রচ্ছদে এনেছে। গত নভেম্বরে 'সিটিজেন মাস্ক' শিরোনামে প্রকাশিত সংখ্যায় তাকে 'রাজনৈতিক রাজা' হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল, যেখানে বলা হয়, তিনি মার্কিন নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। নতুন প্রচ্ছদটি ইঙ্গিত করছে, ট্রাম্পের পরিবর্তে মাস্কই প্রকৃত ক্ষমতার অধিকারী, যা ট্রাম্পের জন্য অপমানজনক হতে পারে।
এই প্রচ্ছদ সম্পর্কে জানতে চাইলে ট্রাম্প ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে বলেন, 'টাইম ম্যাগাজিন এখনো ব্যবসায় টিকে আছে নাকি?'
এমনিতেই ট্রাম্প বরাবরই টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে আসতে আগ্রহী। তিনি দুইবার 'পার্সন অব দ্য ইয়ার' নির্বাচিত হয়েছেন এবং তার প্রেসিডেন্সির বর্তমান মেয়াদেও তিনি প্রচ্ছদে জায়গা পেয়েছেন। অতীতে তিনি নিজের একটি ভুয়া টাইম ম্যাগাজিন কভার তৈরি করেছিলেন, যেখানে তার রিয়েলিটি শো 'দ্য অ্যাপ্রেন্টিস'-এর প্রশংসা করা হয়েছিল।
টাইম ম্যাগাজিন এর আগেও ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে বিতর্কিত প্রচ্ছদ করেছে। ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্টের প্রধান কৌশলবিদ স্টিভ ব্যাননকে নিয়ে করা প্রচ্ছদে তাকে 'দ্য গ্রেট ম্যানিপুলেটর' বলা হয়েছিল। ব্যাননের ব্যাপক প্রভাব নিয়ে তৈরি হওয়া আলোচনার ফলে ট্রাম্প পরে তাকে বরখাস্ত করেন।
তবে মাস্ক এই প্রচ্ছদ নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি, যদিও তিনি সাধারণত তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'এক্স'-এ প্রতিক্রিয়া দিতে দেরি করেন না।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প মাস্ককে সরকারি ব্যয় সংকোচনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছেন, যা অনেকটা ২০২২ সালে টুইটার অধিগ্রহণের পর সেখানকার কর্মীদের ব্যাপক ছাঁটাইয়ের মতো। তবে এ ক্ষেত্রে ট্রাম্প কোনো হস্তক্ষেপ করছেন না, বরং মাস্ককে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট বলেন, 'প্রেসিডেন্ট বলেছেন, যদি কোনো বিষয়ে মাস্কের স্বার্থের সংঘাত হয়, তবে তিনি নিজেই সে সিদ্ধান্ত নেবেন।'