তীব্র জ্বালানি সংকটে পাকিস্তানে দৈনিক ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং
তীব্র বিদ্যুৎ সংকটের পড়েছে পাকিস্তান। পরিস্থিতি সামাল দিতে গত কয়েক মাস ধরেই দৈনিক কয়েক ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে দেশটিতে।
লোডশেডিংয়ের সময়সীমা ক্রমেই বাড়তে বাড়তে দৈনিক গড়ে ১২ ঘণ্টায় গিয়ে পৌঁছেছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে লোডশেডিং আরও বাড়তে পারে বলে বার্তা দিয়েছে পাক সরকার।
এদিকে চাহিদামাফিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পেরে সম্প্রতি সপ্তাহে দুদিন অফিস-আদালত ও কলকারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও নিয়েছে দেশটির সরকার। এছাড়া বিদ্যুতের বাড়তি ব্যবহার বন্ধে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর দোকানপাট খোলা রাখাসহ বিয়ে বা অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পাক সরকার।
পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, দেশজুড়ে ভয়াবহ বিদ্যুৎ সংকটের বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। সেসবে মধ্যে অন্যতম রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, ডলারের তুলনায় পাকিস্তানি রুপির অব্যাহত দরপতন কমা এবং ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা।
সংকটকালে জ্বালানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কয়েক বছর আগে ইতালি ও কাতারের দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গ্যাস সরবরাহের দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করেছিল ইসলামাবাদ। কিন্তু চলমান সংকটকালে তারা চুক্তি অনুযায়ী জ্বালানি সরবরাহ করতে পারেন।
পাকিস্তানে এখন মূল্যস্ফীতির হার ১৩.৮ শতাংশ ছুঁয়েছে। শুধু বিদ্যুৎ নয়, মূল্যস্ফীতি ও সরবরাহ সংকটের কারণে দেশটিতে খাদ্য সংকটও ধীরে ধীরে বাড়ছে।
সংকট মোকাবিলায় সাহায্যের জন্য পাক সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বারস্থ হয়েছিল। আইএমএফ বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি ছাঁটাইয়ের শর্ত দিয়েছে।
- সূত্র: ডন ও আনন্দবাজার