কুষ্টিয়ায় ব্যবসায়ীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে হেনোলাক্স গ্রুপের এমডি ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ার ব্যবসায়ী গাজী আনিসকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে হেনোলাক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী ফাতেমা আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সিনিয়র সহকারী পরিচালক (লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং) এএসপি ইমরান খান জানান, মঙ্গলবার (৫ জুলাই) উত্তরা থেকে তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গাজী আনিসের ভাই গাজী নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে আমিন ও ফাতেমার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
আনিস সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গাজী আনিস কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। আত্মহত্যাচেষ্টার পর তিনি শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অভ বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে (এসএইচএনআইবিপিএস) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অভ বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির প্রধান সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, আনিস মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে মারা যান।
সূত্র জানায়, হেনোলাক্স গ্রুপ নামের একটি কোম্পানির কাছে আনিসের ১ কোটি টাকা পাওনা ছিল।
সোমবার বিষয়টি জানাতে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করতে আসেন আনিস। পরে বিকেল ৫টার দিকে প্রেসক্লাবের ব্যাডমিন্টন খেলার মাঠে তিনি নিজের গায়ে আগুন দেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, হেনোলাক্সের এমডি নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী ফাতেমা আমিন আনিসুর রহমানকে মোটা লাভের আশ্বাস দিয়ে তাদের কোম্পানিতে বিনিয়োগের জন্য প্রথমে ১ কোটি এবং পরবর্তীতে ২০১৮ সালে একই কথা বলে আরও ২৬ লাখ টাকা নেন।