অপশক্তির চাপে মাথা নত করবো না: সিইসি
কোনো অপশক্তির চাপে মাথা নত না করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে চলমান সংলাপের ৫ম দিন বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে গণফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে তিনি এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সিইসি বলেন, "আসন্ন নির্বাচন যদি বিতর্কিত হয়ে ব্যাপকভাবে জনপ্রত্যাশাকে ভূলুণ্ঠিত করে তবে কার কী দায় হবে কেবল গন্তব্যই বলতে পারে। আমরা আমাদের সদিচ্ছা ব্যক্ত করছি। কোনো অপশক্তির চাপে মাথা নত না করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।"
"সংসদ নির্বাচন একটি কঠিন ও ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। সকলের আন্তরিক ও সমন্বিত প্রয়াস থাকলে এমন কঠিন কর্মযজ্ঞ সাধন অসাধ্য নয়।…নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। সকলের সমবেত প্রয়াস দরকার…অস্ত্র শক্তি, অর্থের শক্তি, পেশি শক্তি; এগুলোর কিছু সংকট আছে। এগুলো আমাদের ওভারকাম করতে হবে।"
"নির্বাচনে আমাদের প্রচুর সহিংসতা…নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা যে কোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে। সেক্ষেত্রে যদি প্রয়োজন হয় সেনাবাহিনীকেও সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে হবে।"
"নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিতর্ক চলছে। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আপনাদের মেসেজগুলো সরকারের কাছে পৌঁছে দেবো। এটা সরকারই করতে পারবে। এটা নিয়ে রাজনৈতিক সংলাপের প্রয়োজন। আপনাদের নিজেদের মধ্যেও আলোচনার দরকার আছে।"
সিইসি উল্লেখ করেন, নির্বাচন পরিচালনায় কমিশনের অনেক সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে বা আছে। নির্বাচনকালীন সরকারকে নিরপেক্ষ থেকে কমিশনকে সহায়তা করতে হবে। সেটা সরকারের সাংবিধানিক সংবিধিবদ্ধ দায়িত্ব হবে। কমিশন তার ক্ষমতা সংবিধান, আইন ও বিধিবিধানের আলোকে প্রয়োগ করবে। নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনে নির্বাহী সকল কর্তৃপক্ষকে নির্বাচন কমিশনের আদেশ ও নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপে সিইসি বলেন, "নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার, নির্বাচনকালীন সরকার, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার- বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাবনা আছে...এগুলো পলিটিক্যাল বিষয়।
আপনাদের দাবিগুলো সরকার জানবেন এবং আপনাদের দাবির চাপ কতটুকু- এগুলো সরকারকেও বুঝতে দিবেন। এগুলো পলিটিক্যাল ইস্যু, সাংবিধানিক সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে।"
"জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি দল নির্বাচিত হবেন এবং তারা সরকার গঠন করবেন। কাজেই আমরা মনে করি নির্বাচনটি হেলাফেলা নয়। জনপ্রতিনিধিত্বমূলক ও জনগণের সমর্থন নিয়ে সে সরকার গঠিত হওয়া উচিত। এজন্য নিরপেক্ষ অবাধ নির্বাচন প্রয়োজন।"
সিইসি বলেন, "নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। যে দায়িত্ব নিয়েছি আইন ও সংবিধানের অধীনে সেই দায়িত্ব অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে।"
তিনি আবার বলেন, "রাজনৈতিক দল যদি না আসে আমরা তাদেরকে বাধ্য করতে পারব না। আমরা বারবার তাদের অনুরোধ করে যাব। নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে হলে আমরা আপনাদের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছি।"