স্পটিফাই, অ্যাপলকে টেক্কা দিতে আসছে টিকটক মিউজিক অ্যাপ?
বর্তমানে বহুল জনপ্রিয় সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম টিকটকের মাধ্যমে নতুন নতুন গান আবিষ্কার, কিংবা পুরনো গানের নতুন করে প্রচারের বিষয়টি কারো অজানা নয়। এ অবস্থায় তারা নিজস্ব মিউজিক স্ট্রিমিং অ্যাপ চালু করলে তা মোটেই আশ্চর্যজনক হবে না।
ইনসাইডার এর উন্মোচিত কিছু পেটেন্ট ফাইলিং থেকে এমন তথ্যই জানা গেছে।
টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স মে মাসে 'টিকটক মিউজিক' এর জন্য ইউএস পেটেন্ট অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অফিসে একটি ট্রেডমার্ক আবেদন জমা দিয়েছে।
ফাইলিং অনুসারে, এই পরিষেবার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা গান কিনতে, শুনতে, শেয়ার করতে এবং ডাউনলোড করতে পারবেন। এছাড়া, প্লেলিস্ট তৈরি, শেয়ার এবং রেকমেন্ড করতে পারবেন তারা। গানে কমেন্ট করার পাশাপাশি লাইভস্ট্রিম অডিও এবং ভিডিও করার সুযোগও পাবেন ব্যবহারকারীরা।
এছাড়া, বাইটড্যান্স গত নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় 'টিকটক মিউজিক' ট্রেডমার্কের জন্য আবেদন করেছে।
বাইটড্যান্সের ইতোমধ্যেই মিউজিক স্ট্রিমিংয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০২০ সালে কোম্পানিটি ভারত, ব্রাজিল এবং ইন্দোনেশিয়ায় 'রেসো' নামক একটি মিউজিক স্ট্রিমিং অ্যাপ চালু করেছে।
'টিকটক মিউজিক' ফাইলিং-এ বর্ণিত কিছু বৈশিষ্ট্য এই অ্যাপেরও রয়েছে। যেমন প্লেলিস্ট তৈরি, সোশ্যাল মিডিয়াতে গান শেয়ার এবং অ্যাপ কমিউনিটির সাথে যোগাযোগ করতে পারা।
এমনকি টিকটকের ব্যবহারকারীদেরকে রেসোতে কানেক্ট করতেও টিকটক ব্যবহার করে বাইটড্যান্স। দ্য ইনফরমেশনের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ব্রাজিলের টিকটক অ্যাপে একটি অপশনে ক্লিক করলে ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দের গানে ফুল ভার্সন শুনতে পাবেন রেসোতে।
প্রতিবেদন থেকে আরো জানা যায়, ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ভারত, ব্রাজিল এবং ইন্দোনেশিয়া জুড়ে রেসোর ৪০ মিলিয়নেরও বেশি মাসিক ব্যবহারকারী ছিল।
এদিকে, চলতি বছরের শুরুতে ইনসাইডারের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২১ থেকে ২০২২ এর জানুয়ারির মধ্যে শুধুমাত্র ভারতে রেসোর মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী বেড়েছে ৩০৪ শতাংশ। একই সময়ে দেশটিতে স্পটিফাই ব্যবহারকারী বেড়েছে ৩৮ শতাংশ।
বাইটড্যান্স ঠিক রেসো ফ্রেমওয়ার্কের উপর ভিত্তি করে একটি মিউজিক স্ট্রিমিং অ্যাপ তৈরি করার পরিকল্পনা করছে, নাকি সম্পূর্ণরূপে ভিন্ন ধরনের কিছু নিয়ে আসছে- তা এখনো স্পষ্ট নয়।
তবে, সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলোর ওপর টিকটক যেভাবে প্রভাব ফেলেছে, তা থেকে এটা নিশ্চিত যে টিকটকের সাথে সংযুক্ত একটি মিউজিক অ্যাপ মিউজিক স্ট্রিমিং শিল্পকে পরিবর্তন করতে পারে।