চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘটে মানুষের দুর্ভোগ
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বিপাকে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ। গত রাতে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে ধর্মঘট ডাকায় মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন বেশি।
ভাড়া বৃদ্ধি সিন্ধান্ত না আসা পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীতে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপ।ফলে পুরো নগরজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে পরিবহন সংকট। বিপাকে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ।
নগরীর সব রুটে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। মানুষ সিএনজি, রিকশা বা পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওনা হয়েছে।
আজ সকাল থেকে নগরীর মূল সড়কগুলো ছিল গণপরিবহন শূন্য, অফিসগামী মানুষরা মোড়ে মোড়ে যানবাহনের জন্য ভিড় করেছেন।
শনিবার সকাল থেকে নগরীর মূল সড়কগুলো ছিল গণপরিবহন শূন্য। অফিসগামী মানুষরা মোড়ে মোড়ে যানবাহনের জন্য ভিড় করেছেন।
নগরীর বারেকবিল্ডিং এলাকার একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন সোহেল রানা। নগরীর জিইসি মোড়ের যানবাহনের জন্য অপেক্ষমান অবস্থায় দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে সোহেল রানা বলেন, "সকাল থেকে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি। ৫ মিনিটের জন্য আমাদের গার্মেন্টসের গাড়ি মিস করেছি। এখন কীভাবে অফিস যাবো বুঝতেছি না। এখানে ৪ জন মিলে ঠিক করে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে যাবো। এখন তাও পাচ্ছি না।"
হঠাৎ করে শুক্রবার রাতে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এরপরই চট্টগ্রাম নগরীতে গাড়ি না চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপ।
সংগঠনটির সভাপতি বেলায়েত হোসেন বলেন, "শনিবার সকাল থেকে আমরা বাস চালাব না। ভাড়া পুনঃনির্ধারণের আগ পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।"
গণিপরিবহন বন্ধ থাকায় পায়ে হেটেই অনেকে গন্তব্যে রওনা হয়েছেন।
নগরীর ২ নম্বর গেট এলাকার বাসিন্দা হামিদ উল্লাহ পিয়নের চাকরি করেন অক্সিজেনের একটি বেকারি কারখানার অফিসে। সকাল সকাল গণপরিবহন না পেয়ে পায়ে হেটেই অফিসের দিকে রওনা হয়েছে তিনি। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে হামিদ উল্লাহ বলেন, "রিকশা বা সিএনজি অটোরিকশায় করে অফিসে যাওয়ার মতো সক্ষমতা নেই। তাই পায়ে হেটেই রওনা হয়েছি।"
শুক্রবার রাতে ঘোষিত জ্বালানি তেলের নতুন মূল্যে প্রতি লিটারে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৩৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ আগের মূল্য ৮০ টাকার বদলে এখন এ জ্বালানিগুলো কিনতে ক্রেতাকে গুণতে হবে ১১৪ টাকা। অন্যদিকে অকটেন ও পেট্রোল লিটারপ্রতি ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা করা হয়েছে।
এর আগে ২০০৮ সালের ২৭ অক্টোবর ডিজেলের সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি ছিল কেবল ৩৭.৫ শতাংশ। কিন্তু এবার ডিজেলের দাম বেড়েছে ৪২.৫ শতাংশ এবং অক্টেনের ৫১.৬ শতাংশ।