সাবিনাদের অপেক্ষায় বিমানবন্দরে ফুটবলপ্রেমীদের ভিড়, বরণ করে নিতে থাকছে ফুল-মিষ্টি-ছাদখোলা বাস
স্বপ্নের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে আজ বিজয়ীর বেশে দেশে ফিরছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে দুপুর ১টা বেজে ৫০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে তারা। সাবিনা খাতুনের দলকে ফুল ও মিষ্টি দিয়ে বরণ করে নিতে বিমানবন্দরে করা হয়েছে আয়োজন। অভ্যর্থনা আয়োজনের অংশ হিসেবে চ্যাম্পিয়নদেরকে ছাদখোলা বাসে করে বাফুফে ভবনে নিয়ে যাওয়া হবে।
ঢাকায় পৌঁছানোর পর প্রথমে তাদেরকে যৌথভাবে সংবর্ধনা দেবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। ফুটবল দলের মেয়েদেরকে বরণ করে নিতে বাফুফের কর্মকর্তারাও থাকবেন। এছাড়া আরো উপস্থিত থাকবেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ আরো অনেকে। সাবিনাদের সংবর্ধনা দিতে উপস্থিত থাকবে বিকেএসপিও।
এদিকে ইতোমধ্যেই 'চ্যাম্পিয়ান, বাংলাদেশ' স্লোগানে মুখরিত বিমানবন্দর এলাকা। দলকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে ভিড় করেছে ফুটবলপ্রেমীরা।
এরপর বিমানবন্দর থেকে ছাদখোলা বাসে যাত্রা শুরু করবে চ্যাম্পিয়নরা। সাবিনাদের বহনকারী বাসটি এয়ারপোর্ট-কাকলী-জাহাঙ্গীর গেট-প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়-বিজয় সরণী-তেজগাঁও-মৌচাক-কাকরাইল-আরামবাগ-মতিঝিল শাপলা চত্বর হয়ে যাবে বাফুফে ভবনে।
বাংলাদেশের কোনো ক্রীড়া দলকে এবারই প্রথম ছাদখোলা বাসে করে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। বিআরটিসি সূত্রে জানা গেছে, ফুটবলারদের সংবর্ধনা দিতে গতকালই বিআরটিসির মতিঝিল ডিপোর একটি ডাবল ডেকার বাসের ছাদ কাটা হয়।
বিআরটিসি সূত্র জানিয়েছে, দ্বিতল বাসটির ছাদ এবং তিন পাশ খুলে সেখানে স্টেইনলেস স্টিলের রেলিং বসানো হয়েছে। ফুটবলাররা যাতে দাঁড়িয়ে ভক্তদের অভিবাদনে সাড়া দিতে পারেন সেজন্যে দোতলার সামনের দিকে এবং মাঝখান থেকে ১৪টি আসন তুলে নেওয়া হয়েছে। বাকি ২৮টি আসন রেখে দেওয়া হয়েছে তাদের বসার জন্য।
বাসটিকে সাজানোর অংশ হিসেবে পুরো বাসই চ্যাম্পিয়নদের ছবিসহ ব্যানারে ছেয়ে ফেলা হয়েছে। বাসের সামনের অংশ সাজানো হয়েছে ফুলের তোড়া দিয়ে।
এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মালদ্বীপকে ৩-০ গোলে হারিয়ে মিশন শুরু করে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচেই পাকিস্তানকে ৬-০ গোলে হারায় তারা।
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ৩ গোল করে প্রথমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে জয়ী হয় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এরপর সেমিফাইনালে ভুটানের সাথে বড় ব্যবধানে (৮-০) জেতে সাবিনার দল।
ফাইনালে নেপালের সাথে খেলায় ৩-১ গোলে জয়ী হয় বাংলাদেশ।
দলের মতো দুর্বার ছিলেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুনও। দুটি হ্যাটট্রিকসহ ৮ গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন তিনি, জিতেছেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও। আসরে ২৩ গোল দেওয়া বাংলাদেশ হজম করেছে মাত্র এক গোল। নিজেদের গোলপোস্ট সামলে রাখা রুপনা চাকমা জিতেছেন সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার। শিরোপার পাশাপাশি ফেয়ার প্লে ট্রফিও উঠেছে বাংলাদেশের ঝুলিতে।