ভারতে চিতা’র শিকার হিসেবে চিত্রা হরিণ সরবরাহের অভিযোগ, অস্বীকার কর্তৃপক্ষের
সাত দশক পরে আফ্রিকা থেকে চিতা আনার উত্তেজনা চলছে এখন ভারতে। তবে এরই মাঝে অভিযোগ উঠেছে চিতাগুলোর শিকার তথা খাবার হিসাবে সরবরাহ করা হচ্ছে চিতল (চিত্রা) হরিণ।
তবে এ অভিযোগের সত্যতা জানা যায়নি। এদিকে মধ্যপ্রদেশের সরকারও অভিযোগটি অস্বীকার করেছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে আনা আটটি চিতার খাবারের জন্য রাজস্থান থেকে মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে আনা হচ্ছে বিলুপ্তপ্রায় চিতল হরিণ। এর প্রতিবাদে রাজন্থানের বিষ্ণোই সম্প্রদায় এই 'বিবেচনাহীন সিদ্ধান্ত' পুনর্বিবেচনা করার জন্য নরেন্দ্র মোদির কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছে।
হরিয়ানা রাজ্যের ফতেহবাদে মিনি সেক্রেটারিয়েট-এর বাইরে অবস্থান করেও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিষ্ণোই সম্প্রদায়। পাশাপাশি এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টরের কাছে একটি স্মারকলিপিও পেশ করেছে তারা।
তবে দাবিটি নাকচ করে মধ্যপ্রদেশের বন বিভাগ সুস্পষ্টভাবে জানিয়েছে, 'রাজস্থান থেকে মধ্য প্রদেশে কোনো চিতল হরিণ আনা হয়নি। কারণ এমনটা করতে হলে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি প্রয়োজন।'
বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ আরও বলছে, 'কুনো ন্যাশনাল পার্কে বিশ হাজারের বেশি চিতল হরিণ আছে। সুতরাং বাইরে থেকে চিতল আনার তথ্যটি সঠিক নয়।'
উল্লেখ্য, বিলুপ্তির প্রায় ৭০ বছর পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন উপলক্ষে ১৭ সেপ্টেম্বরে আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে ভারতে আটটি চিতা আনা হয়। সেদিনই কুনো ন্যাশনাল পার্কে চিতাগুলোকে ছেড়ে দেন মোদি।
এর আগে ভারতে সর্বশেষ চিতা দেখা যায় ছত্তিশগড়ে ১৯৪৭ সালে। ১৯৫২ সালে দেশটির সরকার চিতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত ঘোষণা করে।
সূত্র: ইন্ডিয়াটুডে