কংগ্রেস প্রধানের পদ ছাড়লেন রাহুল গান্ধী
গত ৩ জুলাই (বুধবার) কংগ্রেস প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন রাহুল গান্ধী। নিজের পদত্যাগের কথা টুইটারে চিঠি লিখে জানিয়েছেন তিনি। ওই চিঠিতে রাহুল লিখেছেন, ‘হারের দায় নিতে হবে কংগ্রেসকে। দলকে টেনে তুলতে দলে অনেক বদল করতে হবে।’
লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর গত ২৫ মে কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলেছিলেন রাহুল গান্ধী। সে সময় দল তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে নি। এবার তিনি চিঠি দিয়ে পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্বকে।
দলত্যাগের চিঠিতে রাহুল জানান, ‘ কংগ্রেসের হয়ে কাজ করা সম্মানের। দলীয় মূল্যবোধ ও আদর্শ আমাদের সুন্দর জাতি গঠনের জীবনীশক্তি হিসেবে কাজ করেছে। আমি এই দেশ ও আমার দলের কাছে ঋণী। সেই সঙ্গে থাকছে অসীম কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা।’
ওই চিঠির পর দলের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। এরপরই টুইট করে ভাইয়ের পাশে দাঁড়ান দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
তিনি লিখেন, তোমার ‘এই সিদ্ধান্তের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। তুমি যা করেছ তা খুব কম মানুষই করার সাহস দেখাতে পারে।’
এদিকে রাহুলের পর কে হচ্ছেন কংগ্রেসের সভাপতি, ভারতের রাজনৈতিক মহলে এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।
কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত বেশির ভাগ সময় কংগ্রেসের নেতৃত্বে থেকেছেন নেহরু-গান্ধী পরিবারের সদস্যরা। ১৯৯১ সালে রাজীব গান্ধী নিহত হবার পর কংগ্রেসের সভাপতি হন সীতারাম কেশরী। কিন্তু দলটির অবস্থা সেসময় বেশ নাজুক হয়ে যায়। এসময় বেশ কয়েকজন জেষ্ঠ্য নেতার অনুরোধে দলটির দায়িত্ব নেনে সোনিয়া গান্ধী।
২০১৪ সালের নির্বাচনে হেরে যায় কংগ্রেস। এরপর ২০১৭ সালে ডিসেম্বরে কংগ্রেসের সভাপতি হন রাহুল গান্ধী।এবার ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভারতের ১৭ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে একটিও আসন পায়নি কংগ্রেস। এরপরই দলের সভাপতির পদ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান রাহুল। তবে একজন ভালো উত্তরসূরি বেছে নেওয়ার জন্য দলকে সময় দেবেন বলে জানিয়েছেন রাহুল। আর ‘সুশৃঙ্খল সৈনিক’ হিসেবে তিনি দলের জন্য কাজ করে যাবেন।