উপজেলা নগরায়নের সুবিশাল পরিকল্পনা
উন্নত নাগরিক সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে দেশের সব উপজেলার জন্য মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করছে সরকার, ভবিষ্যতে উপজেলা পর্যায়ে পরিকল্পিত নগরায়নের উন্নয়ন কর্মকান্ডের দিক-নির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে এ মাস্টারপ্ল্যানের নথি।
ভূমি সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার ও পরিবেশ সংরক্ষণ করে শহুরে ও গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের কথা আছে এ মাস্টারপ্ল্যানে।
দেশের ৪৯৫টির মধ্যে ১৪ উপজেলার মাস্টারপ্ল্যান আগেই তৈরি করা হয়েছে এবং আটটির মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার বর্তমান সরকারের লক্ষ্যের অংশ এ মাস্টারপ্ল্যান তৈরি।
২০৩০ সালের মধ্যে সব উপজেলার স্বতন্ত্র মাস্টারপ্ল্যান তৈরি হবে।
কেবল উপজেলা সদর নয়; পুরো উপজেলাই মাস্টারপ্ল্যান নকশায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। মাস্টারপ্ল্যানে প্রত্যেক উপজেলায়– উপযুক্ত আবাসন, হাসপাতাল, মার্কেট, স্কুল-কলেজ, খেলার মাঠ, কৃষি খামার, শিল্প কারাখানার জন্য স্থান নির্ধারণ করা থাকবে।
"আমার গ্রাম আমার শহর কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের" আওতায় উপজেলা-ভিত্তিক মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। বর্তমান সরকারের ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে পরিকল্পিত নগরায়ন ও "আমার গ্রাম আমার শহর কারিগরি সহায়তা" প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে শহরের সব সুবিধা গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার ছিল।
সব জেলার জন্য স্বতন্ত্র মাস্টারপ্ল্যান তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের পরিচালক মঞ্জুর সাদেক বলেন, "এই মাস্টারপ্ল্যানে থাকবে ভবিষ্যত উন্নয়নের দিক-নির্দেশনা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য উপজেলা পর্যায়ে নগর ও গ্রামীণ এলাকার পরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে– উপজেলার মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন ও তার প্রয়োগের বিকল্প নেই।"
এলজিইডির কর্মকর্তারা টিবিএস-কে জানান, যথাযথ পরিকল্পনা ও উন্নয়নের মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি, বৈষম্য কমানো এবং দারিদ্র কমানোই– উপজেলা মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য।
মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হলে উপজেলার ভূমি সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে এবং সরকারি–বেসরকারি অংশীদারত্বের মাধ্যমে বসতি ও নগর সেবার ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করা যাবে। এছাড়া কৃষি ভূমি, জলাধার, প্রাকৃতিক খাল, পানির প্রবাহ, উন্মুক্ত স্থান, খেলার মাঠ, উদ্যান সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং -এর অধ্যাপক আক্তার মাহমুদ বলেন, অপরিকল্পিত বসতি গড়ে ওঠার কারণে কৃষি জমি, জলাভূমি নষ্ট হচ্ছে।
"কিন্তু, ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় নিয়ে– প্রকৃতি, কৃষি জমি, জলাভূমি সংরক্ষণ করা দরকার। অপরিকল্পিত উন্নয়নের ধারা যদি চলতে দেওয়া হয়– তাহলে কৃষি জমি, নদী, জলাভূমি নষ্ট হতেই থাকবে। তাই দেশের সব উপজেলার মাস্টারপ্ল্যান তৈরি জরুরি হয়ে পড়েছে। "
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মুসলেহ উদ্দিন বলেন, পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য প্রথম পদক্ষেপ হবে– মাস্টারপ্ল্যান করা।
"মাস্টারপ্ল্যান তৈরির পর একে বাধ্যতামূলক ডকুমেন্ট করতে হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে মাস্টারপ্ল্যানকে সরকারি গেজেট করে ফেলতে হবে। এই আইন যাতে সবাই মানতে বাধ্য হয়– তার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিতে হবে। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিকে পর্যাপ্ত লোকবল এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ দিতে হবে।"
"এরপর উপজেলা পর্যায়ে সরকারের সংস্থাগুলো যার যার দায়িত্ব অনুযায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করবে। যেমন - স্কুল নির্মাণ যাদের দায়িত্বে পড়বে– তারা তাদের জন্য নির্ধারিত জায়গায় তা স্থাপন করবে।"
তবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আক্তার মাহমুদ বলছেন, উপজেলার মাস্টারপ্ল্যান হলো– স্থানীয় পর্যায়ের প্ল্যান। এর ওপরে জাতীয় পর্যায়ে আরেকটি প্ল্যান থাকতে হবে। সেটি হলো– জাতীয় ভৌত পরিকল্পনা । এই পরিকল্পনায় অনুযায়ী, পুরো দেশের নদী, খাল, বিল, পাহাড়, বন, সমতল ভূমি সংরক্ষণ করে উন্নয়নের কৌশলগুলো নেওয়া হবে।
কোন অঞ্চলে কীভাবে উন্নয়ন হবে; কোন এলাকায় কি ধরনের শিল্প হবে; কোথায় অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে; কোন এলাকায় জাতীয় মহাসড়ক হবে— সব কিছু জাতীয় ভৌত পরিকল্পনায় থাকবে। এই পরিকল্পার আলোকে উপজেলা মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করতে হবে।
জাতীয় ভৌত পরিকল্পনা এবং উপজেলা মাস্টারপ্ল্যান একসঙ্গে প্রণয়নে কোনো জটিলতা হবে না বরং সুবিধা হবে, বলেন তিনি।
এখন পর্যন্ত অগ্রগতি
এলজিইডির "আমার গ্রাম আমার শহর কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের" আওতায় উপজেলা-ভিত্তিক মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে।
সমীক্ষা প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে, উপজেলা মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের আলাদা একটি প্রকল্প নেওয়া হবে। প্রতিটি উপজেলার জন্য নকশা প্রণয়নে গড়ে ব্যয় হবে ১১ কোটি টাকা । এ হিসাবে উপজেলা মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে ব্যয় হবে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।
প্রকল্পের পরিচালক মঞ্জুর সাদেক জানান, ২০০৫ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে দেশের ২৫৬টি পৌরসভার মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ শেষ করে এলজিইডি। এ ধারাবাহিকতায়– এবার উপজেলা মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের সময়, আগে তৈরি করা পৌরসভা মাস্টারপ্ল্যানগুলো হালনাগাদ করা হবে।
এলজিইডি কর্তকর্তারা জানান, আগামী এক বছরের মধ্যে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি এবং অনুমোদন শেষ করে– বাস্তবায়নে যাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
তারা আরও জানান, অর্থায়নের জন্য ইতোমধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রাথমিক সম্মতি পাওয়া গেছে। এছাড়া জাপান সরকারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থাও (জাইকা) এই ধরনের প্রকল্পে অর্থায়নের আগ্রহ জানিয়েছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, এর আগে নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর ২০১৪ সালে দেশের ১৪টি উপজেলার মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে। এর মধ্যে রয়েছে– ঢাকার দোহার, নবাবগঞ্জ, মাদারিপুরের শিবচর, লক্ষ্মীপুরের বায়পুর, নরসিংদীর শিবপুর, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, ফরিদপুর সদর, রাজশাহীর বাগমারা, মেহেরপুরের গাংনী, গাইবান্ধার সাঘাটা, বগুড়ার সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি, কক্সবাজারের রামু এবং চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা।
এছাড়া, এলজিইডি দেশের ১২টি উপজেলার মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ করছে, এর মধ্যে আটটি উপজেলার নতুন মাস্টারপ্ল্যান তৈরি এবং ৪টি উপজেলায় ২০১৪ সালের তৈরি হওয়া মাস্টারপ্ল্যান পর্যালোচনা এবং হালানাগাদ করা হচ্ছে।
নতুন করে যে আট উপজেলায় মাস্টারপ্ল্যান হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে-নরসিংদীর মনোহরগঞ্জ, কুমিল্লার লালমাই, নেত্রোকোনার ফকিরহাট, সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ, এবং পটুয়াখালীর দুমকি ।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এ কাজ শেষ হবে।
বেশ কয়েকটি উপজেলার জন্য মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হলেও কোনোটিই এখনো বাস্তবায়ন পর্যায়ে পৌঁছায়নি।
নগর পরিকল্পনাবিদদের মতে, মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করতে হলে উপজেলা পর্যায়ে নগর পরিকল্পনাবিদ নিয়োগ দিতে হবে। একই সাথে, প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সহায়তা দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জোরদার করতে হবে।
পরিকল্পনায় যা রয়েছে
কৃষিকাজের জন্য যতোটা সম্ভব জমি রক্ষা করতে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার জন্য প্রণীত উন্নয়ন পরিকল্পনায়– সড়ক, বাড়ি, শিল্প প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল ও উন্মুক্ত স্থানের জন্য ভূমি ব্যবহার নিয়ন্ত্রিতভাবে করার দিক-নির্দেশনা রয়েছে।
পরিকল্পনাটি ২০১৩- ২০২৩ সাল মেয়াদের জন্য হলেও গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরে জমা দেওয়া হয় ২০১৮ সালের জুনে।
এতে পাঁচ ধাপে ৫, ১০ এবং ২০ বছর মেয়াদে শহর ও গ্রামীণ উন্নয়ন কাজের পরিকল্পনা রয়েছে।
ভূমি ব্যবহার অংশে সবচেয়ে বেশি জমি (৫৬.৮%) কৃষিকাজের জন্য রাখার প্রস্তাব আছে। এরপর আবাসন খাতের জন্য ২০ শতাংশ, জলাভূমির জন্য ১৫.৬ শতাংশ এবং পরিবহনের (সড়ক) জন্য ১.৬ শতাংশ ভূমি ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং উৎপাদন ও প্রস্তুতকারক শিল্পের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ০.৫ শতাংশ ভূমি।
জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে আমলে নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে উন্নয়ন অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখা হয়েছে উন্নত স্বাস্থ্য সেবা, পরিবহন ও শিক্ষার মতো সুবিধা।
পরিকল্পনার সংক্ষিপ্ত-তালিকায় স্থান পাওয়া ৯ প্রকল্প দুটি পাঁচ বছর মেয়াদি ধাপে ৪৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২৩ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা ছিল।
তবে উপজেলা পর্যায়ের প্রশাসনের নিজস্ব রাজস্ব উৎস না থাকায়– এসব প্রকল্পের অর্থায়নে সরকার বা উন্নয়ন সহযোগীদের অনুদান বা বরাদ্দ এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পরামর্শক দরকার হবে।
চার বছরের বেশি সময় আগে পরিকল্পনাটি নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরে জমা দেওয়া হলেও, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ২২৬ পাতার সুবিস্তৃত পরিকল্পনাটি সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেন না।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, এ বিষয়ে তার কোনো ধারণা নেই।
শিবচর উপজেলার ইউএনও মো. রাজিবুল ইসলাম জানান, উপজেলা মস্টারপ্ল্যান সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না কারণ, মাত্র দুই হলো তিনি এ পদে যোগ দিয়েছেন।
এখনও অনেক কিছুই বাকি
পরিকল্পিত নগরায়ন ও সমন্বিত গ্রামীণ উন্নয়ন কাজের জন্য দরকার যথাযথ অবকাঠামো এবং সেবা প্রদানকারী স্থাপনা, শহর ও গ্রামের মাস্টারপ্ল্যানের যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই যা নিশ্চিত করা সম্ভব। এতে সামাজিক অগ্রগতি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং পরিবেশগত টেকসইতা অর্জনে ইতিবাচক প্রভাব যুক্ত হবে বলে প্রকল্প নথিতে বলা হয়েছে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে, বিশ্বব্যাংক ঢাকা এবং চট্টগ্রামের মতো প্রধান শহরের বাইরে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দ্বিতীয় ধাপে নগরায়ন কাজের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।
'বাংলাদেশ কান্ট্রি ইকোনমিক মেমোরান্ডাম: চেঞ্জ অব ফ্যাব্রিক' শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে সঠিক নগরায়নের আহ্বান জানানো হয়। প্রতিবেদনটি বলা হয়, দেশের বৃহত্তম দুই শহরে ব্যবসাবাণিজ্য ও জনসংখ্যা ঘনত্ব বেশি হওয়ায়–বাকি দেশে নগরায়নের গতি থমকে গেছে। ফলে অপ্রধান শহরগুলোর যথাযথ উন্নয়ন হচ্ছে না।
ছোট ও মাঝারি শহরাঞ্চলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আকর্ষিত করতে পরিবহন রুট নির্মাণসহ ডিজিটাল কানেকটিভিটি প্রতিষ্ঠা করে বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের সুযোগ সৃষ্টি করা দরকার বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।
তবে ভৌত বাস্তবায়ন পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য পরিকল্পনাটি অনেক বড়। সকল উপজেলার জন্য মাস্টারপ্ল্যান সার্বিক রূপ নিতে এতে আরও কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
এলজিইডির সমীক্ষা প্রতিবেদনে বিভিন্ন ধাপে উপজেলাগুলোর মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি ধাপে প্রণয়ন করা হবে ৯০ উপজেলার মাস্টারপ্ল্যান।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে,নগর কেন্দ্রীক মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করতে সক্ষম এমন প্রতিষ্ঠানের ঘাটতি থাকায় বিভিন্ন ধাপে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।