পেনশনভোগীর স্ত্রী সেজে অর্থ আত্মসাৎ, নারীর ৭ বছরের কারাদণ্ড
পেনশনভোগীর স্ত্রী সেজে সরকারি কোষাগার থেকে অর্থ আত্মসাতের দায়ে সোমবার ঢাকার একটি আদালত এক নারীকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মচারি শেফালী বেগমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক শহিদুল ইসলাম।
জামিনে থাকা আসামি রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. সাগর।
মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব হামিদুর রহমান ১৯৮৬ সালে পেনশন পান। ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে মারা যান তিনি।
যেহেতু তার স্ত্রী আগেই মারা গিয়েছিলেন এবং তার ছেলে মেয়েরা প্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন, তাই পেনশন বিধি অনুসারে হামিদুর রহমানের পেনশন সুবিধা বাতিল করা হয়েছিল।
কিন্তু হামিদুরের মৃত্যুর আট বছর পর, ২০০৭ সালের মে মাসে শেফালি নিজেকে তার একমাত্র বিধবা দাবি করে পারিবারিক পেনশনের জন্য আবেদন করেন।
পেনশন আবেদনের সাথে শেফালি জাল কাবিননামা, মুসলিম বিবাহের দলিল এবং হামিদুরের সাথে বিবাহের ফলে পাওয়া উত্তরাধিকার সনদ জমা দেন।
১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৬ সালের আগস্ট পর্যন্ত তিনি একটি জালিয়াতি ডকুমেন্টের মাধ্যমে সরকারি কোষাগার থেকে ৭ লাখ টাকা পাচার করেন।
হামিদুরের স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে সরকারি কোষাগারের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় আসামির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন দুদকের সহকারী পরিচালক সোহানা আক্তার।
শেফালীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৮ সালের মে মাসে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সোহানা আক্তার।
এরপর ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।