অণু গঠনের চমকপ্রদ পদ্ধতির জন্য রসায়নে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী
অণুর গঠন এবং সংযুক্তি সংক্রান্ত গবেষণায় সাফল্যের জন্য রসায়নে ২০২২ সালে নোবেল পুরস্কার পেলেন তিন বিজ্ঞানী– ক্যারোলিন আর. বার্তোজ্জি, মর্টেন মেলডাল এবং কে. ব্যারি শার্পলেস। তারা নিজেদের কাজের মাধ্যমে অণু গঠনের চমকপ্রদ একটি টুল আবিষ্কার করেছেন।
ক্যারোলিন আর বার্তোজ্জি ও কে. ব্যারি শার্পলেস আমেরিকার (যুক্তরাষ্ট্রের) নাগরিক, আর ডেনমার্কের নাগরিক মর্টেন মেলডাল।
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অভ সায়েন্সেস জানিয়েছে, এই বিজ্ঞানীত্রয় ক্লিক কেমিস্ট্রি ও বায়োওর্থোগনাল কেমিস্ট্রি– রসায়নের এ দুই খাত প্রতিষ্ঠা ও তা এগিয়ে নিতে অনবদ্য অবদান রাখায় নোবেল ভূষিত হলেন।
'তাদের কাজের মাধ্যমে বিভিন্ন কণাকে কীভাবে যুক্ত করা যায় সে বিষয়ে রসায়নবিদদের ধ্যানধারণায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে'- জানায় নোবেল পুরস্কার দেওয়ার কর্তৃপক্ষটি।
নোবেল কমিটি জানিয়েছে, ক্লিক কেমিস্ট্রি– বস্তুকণায় বা অণুতে দ্রুত ও সরল প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়, ফলে দ্রুত সংযুক্তি ঘটে আণবিক গড়ন কাঠামোয়। ওষুধ শিল্পের গবেষণায় এই আবিস্কার ব্যাপক সুফল বয়ে আনবে।
১৯০১ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত নোবেল পুরস্কারের ইতিহাসে রসায়নে এই নিয়ে মোট ১১৬ জন রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ৭ জন মহিলা বিজ্ঞানী। ২০২০ সালে নোবেল পুরস্কারের ইতিহাসে প্রথম বার কোনও একটি বিভাগে একসঙ্গে দুই মহিলার নোবেলপ্রাপ্তি ঘটেছিল রসায়নেই। জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইউনিট ফর দ্য সায়েন্স অব প্যাথোজেনস-এর অধ্যাপক এমানুয়েল শার্পেন্টার এবং বার্কলের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেনিফার এ দৌদনা যৌথ ভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন সে বছর।
১৯০৩ এবং ১৯১১ সালে মাত্র আট বছরের ব্যবধানে দু'বার দুই আলাদা বিষয়ে (পদার্থবিদ্যা এবং রসায়ন) নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন মাদাম কুরি। ১৯৫৮ এবং ১৯৮০ সালে রসায়নে দু'বার নোবেল সম্মাননা পাওয়ার রেকর্ড ছিল ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ফ্রেডরিক স্যাঙ্কারের। বুধবার সেই রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন শার্পলেস।
- সূত্র: সিএনএন