গ্রামীণ গ্রাহকদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের জুতা তৈরি করছে এপেক্স
লোকাল মার্কেটে এপেক্স ফুটওয়্যারের পথচলা শুরু ১৯৯৭ সালে। ছোট্ট একটি ফ্র্যাঞ্চাইজ থেকে বিগত ২৫ বছর ধরে স্থানীয় বাজারে অন্যতম ব্র্যান্ড কোম্পানিটি। বহির্বিশ্ব ও শহরের বাজারে অন্যতম ব্র্যান্ড হওয়ার পাশাপাশি এখন গ্রামীণ মার্কেটের দিকে নজর দিচ্ছে কোম্পানিটি।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর একটি কনফারেন্স রুমে ২৫ বছর পূর্তি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন কোম্পানিটির কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে এপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, "১৯৯৭ সালের একটি দোকান থেকে ২৫ বছরে আজ আমরা এখানে এসে পৌঁছেছি গুণগতমান আর নতুনত্ব নিয়ে।"
"এপেক্স গর্ববোধ করে যে তারা সব পণ্যই কমপ্লায়েন্স ফ্যাক্টরিতে তৈরি করছে এবং সাধারণ মানুষের কাছে রপ্তানি মানের জুতা পৌঁছে দিতে পারছে," তিনি যোগ করেন।
তিনি বলেন, "একটি দোকান থেকে এপেক্স একটি ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত হয়েছে। এটা আমাদের জন্য বড় অর্জন। কোম্পানিতে এখন ৪৬৩৫ জন নিবেদিত কর্মী রয়েছেন; যাদের প্রচেষ্টায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।"
কোম্পানির ইউনিট-২ এর চিফ অপারেটিং অফিসার ফিরোজ মোহাম্মদ বলেন, "২৫ বছরের সফলতাকে আরও এগিয়ে নিতে কোম্পানি গ্রামের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে নতুন পণ্য উৎপাদন করছে। এসব পণ্যের গুণমানও আমাদের বাকি পণ্যগুলোর মতোই।"
তিনি বলেন, "স্থানীয় বাজারের ২৮% দখলে নেওয়া কোম্পানিটি গ্রামীণ এলাকায় স্টেক বাড়াতে চায়। গ্রামীণ মানুষের সহনীয় মূল্যে রপ্তানি মানের জুতার যোগান দিতে প্রতিষ্ঠানটি ৪ শতাংশ মুনাফা কনসিডার করতে চায়। ইতোমধ্যে কোম্পানটি গ্রাম প্রোজেক্ট এর আওতায় বেশ কিছু পণ্য বাজারজাত করেছে।"
এদিকে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এবং ব্যবসায়িক খরচ বৃদ্ধির মধ্যেও ২০২১-২২ হিসাব বছরে ভাল ব্যবসা করেছে কোম্পানিটি।
গত অর্থবছরে লোকাল ফুটওয়্যার জায়ান্টের জুতা বিক্রি ১০ শতাংশ এবং মুনাফা ৩১ শতাংশ বেড়েছে। আর প্রবৃদ্ধির উপর ভর করে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৩৫ শতাংশ ক্যাশ এবং ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, তাদের নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি টাকা। তাছাড়া, কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১১ টাকা ৭০ পয়সা; যা আগের দুই অর্থবছরে ছিল যথাক্রমে ১০ টাকা ৫৩ পয়সা ও ৮ টাকা ৯২ পয়সা।
গত অর্থবছরে কোম্পানিটির আয় ছিল ১,২৯৭.৪৬ কোটি টাকা, যা আগের বছর ছিল ১,১৭৬.৪০ কোটি টাকা।
এপেক্সের ৬০ শতাংশের বেশি আয় আসে স্থানীয় বাজার থেকে এবং বাকিটা রপ্তানি থেকে।
সূত্র অনুযায়ী, ২০২১-২২ বছরে কোম্পানিটির লোকাল সেলস ১৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৭৬৮.৭২ কোটি টাকা এবং এক্সপোর্ট ৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫২৮.৭৪ কোটি টাকা।
আর লোকাল মার্কেটে কোম্পানিটির মোট বিক্রির ৫৩ শতাংশ আসে চামড়ার জুতা থেকে, সিনথেটিক থেকে আসে ২৯ শতাংশ। অন্যদিকে এক্সপোর্টের ৯১ শতাংশই আছে লেদারের দখলে, বাকিটা সিনথেটিক।