মারুতি সুজুকি’র হাত ধরে যেভাবে আবার ভারতের বাজারে জনপ্রিয় হয়ে উঠল জাপানি গাড়ি!
গত কয়েক মাস ধরে ফেসলিফট, নতুন মডেল আর বিভিন্ন সংস্করণের মাধ্যমে ভারতের বাজারে নতুন করে গাড়ির বিক্রি বাড়াচ্ছে জাপানি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
এর ফলে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় জাপানি অরিজিনাল গাড়ি নির্মাতাগুলো (ওইএম) ৫ শতাংশ বেশি মার্কেট শেয়ার অর্জন করেছে। খবর দ্য ইকোনোমিক টাইমস-এর।
এসব কোম্পানিগুলো নিয়মিত আনকোরা মডেলের গাড়ি বাজারে ছাড়ার দিকে নজর দিচ্ছে। আবার পুরোনো মডেলের গাড়ির নকশা, ইন্টেরিয়র, প্রযুক্তি ইত্যাদিতে বদল এনে ও উন্নয়ন ঘটিয়ে নতুন মডেলের সাথে খাপ খাইয়েও বাজারে ছাড়ছে তারা। গাড়িশিল্পে এটি ফেসলিফট নামে পরিচিত।
এসব জাপানি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ভারতের বাজারে প্রধান ভূমিকা রাখছে মারুতি সুজুকি। সেপ্টেম্বরে কোম্পানিটির মার্কেট শেয়ার বেড়েছে ৭.৮ শতাংশ। তবে কোরিয়ান, ইউরোপিয়ান, মার্কিন ও চীনা গাড়ি কোম্পানিগুলোর ব্যর্থতার কারণে জাপানি কোম্পানিগুলো ভারতের বাজারে ব্যবসা বাড়াতে পারছে।
ভারতের নিজস্ব গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি টাটা মটরস ও মাহিন্দ্র অ্যান্ড মাহিন্দ্রাও যৌথভাবে আগের বছরের তুলনায় ২.৩ শতাংশ বেশি মার্কেট শেয়ার অর্জন করেছে।
মারুতি ও টয়োটা মোটর করপোরেশনের পার্টনারশিপের মাধ্যমে আগামী দুবছরে নতুন মডেলের গাড়ি ভারতের বাজারে ছাড়লে দেশটিতে জাপানিজ এ দুটি প্রতিষ্ঠান আরও বেশি বাজার ধরতে পারবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই ব্র্যান্ডগুলোর নতুন কোনো মডেল বাজারে ছাড়ার পর তা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার অনেক নজির আছে অতীতে। গত সেপ্টেম্বরে মারুতি সুজুকি'র আল্টো কে১০ ও গ্র্যান্ড ভিতারা এবং টয়োটার হাইরাইডার বাজারে ভালোই সাড়া ফেলেছে বলে জানান মারুতি সুজুকির জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক শশাঙ্ক শ্রীবাস্তব।
এদিকে ব্যাবসা বাড়াতে হোন্ডা কারস ইন্ডিয়া ও টয়োটা কির্লসকারের মতো অন্য কোম্পানিগুলোও নতুন মডেলের গাড়ি বাজারে আনার পরিকল্পনা করছে।
টয়োটা কির্লসকারের ভাইস-চেয়ারম্যান বিক্রম কির্লসকার জানিয়েছেন, গত সেপ্টেম্বরে ব্র্যান্ডটির উন্মুক্ত করা আরবান ক্রুজার হাইরাইডার মডেলের এসইউভি গাড়িটি ক্রেতা ও গাড়ি-অনুরাগীদের আগ্রহের শীর্ষে এবং ভালোই বিক্রি হচ্ছে।
হোন্ডা জানিয়েছে, বেশ কয়েকবছর খারাপ কাটানোর পর তারা এখন নতুন করে উঠে দাঁড়াচ্ছে। ভারতের ২০২৩ অর্থবছরে কোম্পানিটির দেশের ভেতর বিক্রি ১৮ শতাংশ ও রপ্তানি ৫৩ শতাংশ বেড়েছে।
অস্থিতিশীল বাজার ও বৃহৎ অর্থনীতি নানা প্রতিবন্ধকতায় ভরপুর থাকলেও গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলো নতুন পণ্যের ওপর থেকে মনোযোগ সরাচ্ছে না।