বন্ধ গণপরিবহন, বাগেরহাটে দুর্ভোগে জনসাধারণ
শুক্রবার ভোর থেকে বাগেরহাট জেলা সদর সহ ১০টি জেলায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে জনসাধারণ।
সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা পরীক্ষার্থীরা। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ ভ্যান বা ইজিবাইকে চড়ে চেষ্টা করছেন গন্তব্যে পৌঁছানোর।
সরেজমিনে বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে দেখা যায়, নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে গোপালগঞ্জে যাবেন ইয়ামিন নামের এক পরীক্ষার্থী। বড় ভাইয়ের সাথে বের হয়ে কোনো যানবাহন না পাওয়ায় হাঁটতে দেখা যায় তাকে।
আক্ষেপ করে বলছিলেন, "সমাবেশ খুলনায় হলেও ঢাকার পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। সময়মত কেন্দ্রেই হয়তো যেতে পারব না।"
পাবনা থেকে পিরোজপুরের উদ্দেশ্যে আসা হাসান নামের এক ব্যক্তি বলেন, "খুলনায় ভোর চারটার সময় পৌঁছালেও ভ্যানে চড়ে বাগেরহাট আসতে সময় লেগেছে প্রায় ৪ঘণ্টা। বাসস্ট্যান্ডে এসে আর কিছু না পাওয়াতে অপেক্ষায় রয়েছি। বাড়ি যেতে পারব কিনা তাই নিয়ে সংশয়ে রয়েছি।"
মোরেলগঞ্জ উপজেলা থেকে স্ত্রীকে নিয়ে খুলনায় চিকিৎসক এর কাছে যাচ্ছিলেন মোশাররফ নামের এক ব্যক্তি। কিন্তু পরিবহন না থাকায় বাধ্য হয়ে ফিরে গেছেন বাড়িতে।
উল্লেখ্য, ২২ অক্টোবর দুপুরে খুলনা নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিভাগীয় গণসমাবেশের আয়োজন করেছে বিএনপি।
বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ সামনে রেখে দুই দিন বাস চলাচল বন্ধ রাখলেও বাস মালিক সমিতি বলছে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সড়ক-মহাসড়কে নসিমন-করিমন, মহেন্দ্র, ইজিবাইক ও বিটিআরসির গাড়িগুলো চলাচল করছে। এ জন্য ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।